নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম: ঢাকা, চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন শহরে নামিদামি বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভর্তি ও পুনঃভর্তির নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে নিয়মবহির্ভূতভাবে আদায় করছে, যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অনুসরণীয় নীতিমালার পরিপন্থি। বিভিন্ন বেসরকারি স্কুলে ভর্তির সময় পুনঃভর্তি, উন্নয়ন ফি, টিসি গ্রহণের সময় পুরো বছরের ফি আদায়, নতুন সেশনে ভর্তি প্রভৃতির নামে-বেনামে হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও চট্টগ্রাম বন্দর, সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বেপজাসহ বিভিন্ন স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান কর্তৃক পরিচালিত স্কুলেও নানা অযুহাতে ভর্তি, পুনঃভর্তি এবং টিউশন ফি দ্বিগুণ করা হয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠানগুলো মনিটরিং করে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে কনজ্যুমার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) চট্টগ্রামের নেতারা।
গতকাল চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াছ হোসেনের কাছে দাখিলকৃত এক চিঠিতে ক্যাব নেতারা উপরিউক্ত দাবি জানান। নেতারা বলেন, ডিসেম্বর থেকে নগরীতে শুরু হয়েছে কেজি স্কুলে ভর্তিবাণিজ্য। সরকারি ও নামিদামি স্কুলে ভর্তির জন্য কোচিং ব্যবসা, ভর্তির সময় ডোনেশন, বিভিন্ন ফি আদায় করে মধ্যবিত্তসহ সব নাগরিকদের মাঝে শিক্ষা অধিকারের পরিবর্তে একটি অতি খরচ-নির্ভর পণ্যে পরিণত হয়েছে। একজন সাধারণ নাগরিককে ভর্তি, পুনঃভর্তি, টিউশন ফি, বাই-খাতা প্রভৃতির নামে এত খরচের বোঝা চাপানো হচ্ছে, যার ভারে মধ্যবিত্তের জীবন মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা যেন নিত্যসঙ্গী। নেতারা অভিযোগ এসব ফি আদায়ের কোনো নিয়মনীতি মেনে চলার নজির পাওয়া যাচ্ছে না। যে যার ইচ্ছামতো গলাকাটাভাবে আদায় করে পকেট ভর্তি করছে। সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক জারিকৃত বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর শিক্ষার্থী ভর্তির ক্ষেত্রে অনুসরণীয় নীতিমালা উপেক্ষা করে যে যার মতো ফি আদায় করছে। নেতারা আরও উল্লেখ করেন ডিসেম্বরের পূর্বেই শুরু হয়েছে ভর্তি কোচিংবাণিজ্য। আবার সরকারি স্কুলের ক্লাসের সঙ্গেই চলছে কোচিং। অথচ এগুলো তদারকির দায়িত্বে যারা নিয়োজিত জেলা শিক্ষা অফিস, শিক্ষা বোর্ড ও শিক্ষা প্রশাসন দিবা নিদ্রায় ভগ্ন। জেলা প্রশাসন কিছু কিছু উদ্যোগ নিলেও তা আরও জোরদার করা দরকার। একই সঙ্গে শিক্ষা প্রশাসনের নজরদারি বাড়ানো দরকার।