নিজস্ব প্রতিবেদক: পরীক্ষায় জালিয়াতির মাধ্যমে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ৬৩ জন শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে। এছাড়া অবৈধ অস্ত্র ও মাদক সম্পৃক্ততার দায়ে চার শিক্ষার্থীকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হয়েছে বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। এদের পাশাপাশি ভর্তি জালিয়াতিতে আরও ৯ জন এবং ছিনতাইয়ের অভিযোগে ১৩ শিক্ষার্থীকে সাময়িকভাবে বহিষ্কারের পাশাপাশি তাদের কেন স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে না, সাত দিনের মধ্যে তা জানাতে কারণ দর্শানোর নোটিস দেওয়া হচ্ছে।
গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থার সিদ্ধান্ত হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে।
এসব শিক্ষার্থী ২০১২-১৩ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন। ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির মামলায় সিআইডির অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি তারা। এসব শিক্ষার্থী ডিজিটাল জালিয়াতিতে জড়িতদের কয়েক লাখ করে টাকা দিয়ে পরীক্ষায় উতরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়েছিলেন বলে সিআইডির তদন্তে বেরিয়ে আসে।
ওইদিনই তাদের বিরুদ্ধে শাহবাগ থানায় ২০০৬ সালের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি আইনের ৬৩ ধারা এবং ১৯৮০ সালের পাবলিক পরীক্ষা আইনের ৯ (খ) ধারায় মামলা করে সিআইডি। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে প্রশ্ন ফাঁস চক্রের অন্যদের গ্রেপ্তার করা হয়।
প্রায় দেড় বছর তদন্তের পর ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে গত বছর ২৩ জুন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৮৭ শিক্ষার্থীসহ মোট ১২৫ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি।