নিজস্ব প্রতিবেদক: রেলপথ মন্ত্রী মো. জিল্লুল হাকিম বলেছেন, ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন নির্মাণ করা হবে।
গতকাল শুক্রবার রাজবাড়ী রেলস্টেশনে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। পরে তিনি রসুলপুরে অন্ধ হুজুরের এতিমখানা ও মাদ্রাসায় বার্ষিক ওয়াজ মাহফিলে যোগদান এবং রাজবাড়ী জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে আয়োজিত বইমেলা পরিদর্শন করেন।
ঢাকা থেকে রাজবাড়ী আসার সময় ট্রেন যাত্রা ছিল উল্লেখ করার মতো একথা জানিয়ে রেলপথ মন্ত্রী বলেন, ‘অল্প সময়ে রাজবাড়ী এসেছি। ট্রেনের সার্ভিসের আরও উন্নতি করা হবে।’
রেলমন্ত্রী বলেন, ‘শুনেছি আমার এলাকার লোকজন ট্রেনে চড়ে রেলের লোকজনের ওপর দাপট দেখায়, ট্রেনে উঠে মন্ত্রীর এলাকার লোক বলে পরিচয় দেন, এসব বন্ধ করতে হবে। আমার এলাকার লোক বলেই ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করবেন এমন নয়। আমি এলাকার লোকদের বলব, ট্রেনের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে ভদ্র ও ভালো ব্যবহার করবেন।’
মন্ত্রী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষণা দিয়েছেন রেলের আরও সম্প্রসারণ হবে। রেল মাল পরিবহন ও যাত্রীদের সস্তায় সার্ভিস দিয়ে থাকে। প্রত্যেকটি জেলায় রেলের কানেক্টিভিটি তৈরি করা হবে। কিছুদিন পরেই ভাঙ্গা থেকে বরিশাল হয়ে পায়রা বন্দর পর্যন্ত রেললাইন চালু হবে। এছাড়া আরও কিছু কিছু পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে রেলের সম্প্রসারণের জন্য।
তিনি আরও বলেন, রেলের অনেকগুলো কোচ ও ইঞ্জিন আমদানি করা হয়েছে, আরও কিছু আমদানি করা হবে। রাজবাড়ী রেলের শহর, রাজবাড়ীতে ১০৫ একর জমি নিয়ে রেলের সবচেয়ে বড় কারখানা নির্মাণ করা হচ্ছে। এই কারখানায় রিপেয়ারিং, মেইনটেনেন্সসহ বগি তৈরি করা হবে। এটা আমাদের রাজবাড়ীবাসীর জন্য সবচেয়ে সুখের খবর। মন্ত্রী রাজবাড়ীতে একটি আধুনিক রেলস্টেশন করার ঘোষণা দেন।
রেলমন্ত্রী দুই দিনের সরকারি সফরে রাজবাড়ীতে এসেছেন।
সকাল ৮টা ১০ মিনিটে ঢাকার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে সুন্দরবন এক্সপ্রেস ট্রেনে যাত্রা করেন। সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে তিনি রাজবাড়ী রেলস্টেশনে পৌঁছান।
এ সময় রাজবাড়ীর জেলা প্রশাসক আবু কায়সার খান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) মুকিত সরকারসহ জেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ জেলা আওয়ামী লীগের নেতারা
উপস্থিত ছিলেন।