গরম গরম ভাজা আলু। সেদ্ধ কিংবা যে কোনো তরকারির সঙ্গে একটু আলুর ঝোল। ব্যস! হয়ে যাবে পেটপূজা। মিটে যাবে পুষ্টির চাহিদা। বিশ্বের প্রায় সব মানুষের পাতে তাই থাকে আলু। ডাক্তাররাও আলু খেতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। উচ্চ পুষ্টিমানসম্পন্ন এ খাবারের কয়েকটি গুণ জেনে নিতে পারেন
1. বিশ্বে উৎপাদিত শস্যের তালিকায় আলুর অবস্থান চতুর্থ। প্রায় সব দেশে আলু উৎপন্ন হয়। এর রক্ষণাবেক্ষণ খুব সহজ। বিশ্বের অনেক দেশের প্রধান খাবার আলু। বছরের যে কোনো সময়েই পাওয়া যায়।
2. আমাদের দেশে ভাতের বিকল্প হিসেবে আলু খাওয়ার কথা বলা হয়।
3. সাধারণত আলুর খোসার ভেতরের পাতলা স্তরে বেশি পুষ্টি থাকে। এ কারণে খোসাসহ আলু খাওয়া উচিত।
4. ভাত ও গমের সমপরিমাণ পুষ্টি রয়েছে আলুতে। আলুতে থাকা কার্বোহাইড্রেট মানবদেহের জন্য বিশেষ উপকারী।
5. আঁশের পাশাপাশি ভিটামিন ‘এ’, ‘বি৬’, ‘সি’, বিটা-ক্যারোটিন, খনিজ লবণ ও উদ্ভিজ্জ প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার আলু। যুক্তরাষ্ট্র্রের এক কৃষি গবেষণা সংস্থার মতে, পলিফেনলের মতো প্রয়োজনীয় ফাইটোকেমিক্যালের চমৎকার উৎস আলু। এ কেমিক্যাল কার্ডিওভাসকুলার রোগ সারানোর জন্য উপকারী।
6. ব্রিটিশ জার্নাল অব মেডিসিনের মতে, আমাদের দেহের প্রয়োজনীয় জ্বালানি ও শক্তির জোগানদার আলু।
7. আলুতে থাকা ক্যালরি শরীরের জন্য উপকারী। মুটিয়ে যাওয়ায় ভীত যারা, তারা মিষ্টি আলু খেতে পারেন। মিষ্টি আলুতে থাকা ক্যালরির পরিমাণ খুব কম। চর্বির উপস্থিতিও কম।
8. যুক্তরাজ্যের নরউইচের খাদ্য গবেষণা সংস্থা জানিয়েছে, রক্তে চিনির মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে আলু। তবে ডায়াবেটিসের কারণে ব্লাড প্রেসার বেড়ে গেলে আলু খাওয়া ঠিক নয়।
9. এটি সুষম ও সহজপাচ্য খাবার। খেতে পারেন আলু দিয়ে তৈরি স্যুপ। সুস্বাদু ও মুখরোচক এ আইটেম শরীরের নানা চাহিদা পূরণে সক্ষম।
10. অ্যাসিডিটি দূরে রাখতে আলুর বিশেষ গুণ রয়েছে। তবে একবারে বেশি খাবেন না। স্কার্ভি ও রিউমেটিক প্রতিরোধ করে এ সবজি।
11. রাতকানা রোগ সারাতে নিয়মিত আলু খেতে পারেন। এজন্য খাসির কলিজার সঙ্গে মিষ্টি আলু খেতে হবে।
12. পুড়ে যাওয়ার তাৎক্ষণিক চিকিৎসায় আলু উপশম এনে দিতে পারে। এজন্য কাঁচা পরিষ্কার আলু থেঁতলে ক্ষতস্থানে লাগাতে হবে।
13. আলুর সঙ্গে মধু মিশিয়ে মুখে বা শরীরে লাগাতে পারেন। এতে করে বয়সের ছাপ লুকাবে, দূর হবে ত্বকের দাগ। নির্মূল হবে ব্রণ।
Add Comment