কুদরতে খোদা সবুজ : কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়ক ঘেঁষে গড়ে তোলা হয়েছে একটি সাধারণ ভাতের হোটেল, নাম ‘ভাবী হোটেল’। টিনের তৈরি খুপরি এই হোটেলটি মূলত গড়ে তুলেছেন আছেনা বেগম নামে একজন মধ্যবয়স্ক নারী।
হোটেলের রান্না থেকে শুরু করে ভোক্তাদের কাছে খাবার পরিবেশনের যাবতীয় কাজ তিনি একাই করেন। বৃহস্পতিবার ৫ অক্টোবর দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, টিনশেডের এই হোটেলটিতে খাবারের জন্য মানুষ ভিড় জমিয়েছেন। জায়গার স্বল্পতার কারণে অনেকে দাঁড়িয়ে আছেন। এখানে খেতে আসা হেলাল মিয়া বলেন, অল্প খরচে এখন আর এমন খাবার সহজে মেলে না। অনেকদিন পরে কোনো হোটেলে তৃপ্তি নিয়ে খেলাম। সুজন আলী নামে আরেক ব্যক্তি জানান, এই হোটেলের রান্না অনেক সুস্বাদু। তাছাড়া হোটেলটি অনেক পরিচ্ছন্ন।
কথা হয় ভাবী হোটেলের মালিক আছেনা বেগমের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রায় ১২ বছর হলো স্বামী আবুল হোসেন প্যারালাইসিসে আক্রান্ত। বর্তমানে তার দেহের একটি অংশ অচল হয়ে গেছে। স্বামী ও দুই সন্তান নিয়ে টানাটানির সংসার। প্রায় নয় বছর বিভিন্ন হোটেলে এমনকি গৃহকর্মীর কাজও করেছি। শেষমেশ রাস্তার ধারে নিজেই একটি ভাতের হোটেল চালু করি। তিন বছরের মাথায় সেটি উচ্ছেদ করে দেওয়া হয়। আবার রাস্তার ধারে হোটেলটি চালু করেছি। এখানে প্রতি মাসে দুই হাজার টাকা ভাড়া দিতে হয়। তবে এখান থেকেও হয়তো শিগগিরই উঠে যেতে হবে। কারণ জায়গার মালিক এখানে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করবেন। তিনি আরও বলেন, প্রথম যখন হোটেল চালু করি তখন ব্যবসা আরও ভালো হতো। এখন ততটা ভালো হয় না। জিনিসপত্রের দাম বেড়ে যাওয়ার ফলে লাভও কমে গেছে। তবে স্বামী আর দুই সন্তান নিয়ে কোনো মতে দিন চলে যায়। খাবারের দাম সম্পর্কে তিনি জানান, এই হোটেলে প্রতি প্লেট ভাত ১০ টাকা, গরুর মাংস ৮০ টাকা, মুরগির মাংস ৫০ টাকা, মাছ ৩০ টাকা ও ডিম ২০ টাকা।
কুষ্টিয়া