ক্রীড়া প্রতিবেদক: বিনা মেঘে বজ্রপাত বললেও বুঝি কম বলা হয়। গ্রুপ পর্বে যে পাকিস্তানকে নিয়ে ‘ছেলেখেলায়’ মেতেছিলেন বিরাট কোহলিরা। সেই দলটিই এভাবে জবাব দেবে কে জানতো? ফাইনালের মঞ্চে সব হিসাবের ছক উল্টে দিয়ে রীতিমতো ইতিহাস গড়ল সরফরাজ আহমেদের দল। শুরুতে ফখর জামানের অসাধারণ এক সেঞ্চুরি, তারপর মোহাম্মদ আমিরের পেস ঝড়। সব মিলিয়ে ধ্বংসস্তূপে ভারত। বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের লজ্জায় ফেলে দিয়ে পাকিস্তান জিতল ১৮০ রানের বড় ব্যবধানে। এর সঙ্গে প্রথমবারের মতো আইসিসি চ্যাম্পিয়নস ট্রফি জয়ের উল্লাসে মাতে দুঃসময়ের মধ্য দিয়ে যাওয়া পাকিস্তান। ‘আন্ডার ডগ’ হিসেবে খেলতে নেমে শিরোপা জিতেই ফিরছে দলটি।
কেনিংটন ওভালে গতকাল শিরোপা ধরে রাখার মিশনে নেমেছিল ভারত। অতি আত্মবিশ্বাসেই কি না, কে জানে টস জিতে প্রথমে পাকিস্তানকেই ব্যাটিংয়ে পাঠায়। চির প্রতিদ্বন্দ্ব^ীরা সুযোগটা বেশ কাজে লাগিয়ে চড়ে বসে রান পাহাড়ে। নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ফখর জামান (১১৪), মোহাম্মদ হাফিজ (৫৭) ও আজহার আলির (৫৯) ব্যাটে চড়ে ৪ উইকেটে ৩৩৮ রানের বড় স্কোর গড়ে পাকিস্তান। জবাব দিতে নেমে ভারত করে ৩০.৩ ওভারে ১৫৮ রান।
পাকিস্তানের হয়ে মোহম্মদ আমির ও হাসান আলি নেন তিনটি করে উইকেট। শাদাব খান দুটি ও জুনায়েদ খান নেন একটি উইকেট।
৩৩৯ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই মোহাম্মদ আমিরের বোলিং তোপে পড়ে ভারত। দলীয় স্কোর ৩৩ রানে পৌঁছাতেই রোহিত শর্মা (০), বিরাট কোহলি (৫) ও শেখর ধাওয়ানকে (২১) সাজঘরে ফিরিয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তানের হাতে এনে দেন তিনি।
এদিকে যুররাজ সিং ও মহেন্দ্র সিং ধোনিও নিজেদের নামের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি। পাকিস্তানের তরুণ স্পিনার সাদাব খানের এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন যুবিকে। আর হাসান আলির সেøায়ারে ইমাদ ওয়াসিমের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরের পথ ধরেন ধোনি। সে সময় ভারত দাঁড়িয়ে ধ্বংসস্তূপে। মানে ৫৪ রানেই দলটি হারিয়ে বসে ৫ উইকেট। এরপর কি আর ম্যাচে ফেরা যায়!
শেষ দিকে পরাজয়ের ব্যবধানটা শুধু কমিয়েছেন হার্দিক পান্ডিয়া। ৪৩ বলে ৬টি চার ও ৪টি চারে এ অলরাউন্ডার করেন ৭৬ রান।
এর আগে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দুই ওপেনার ফখর জামান ও আজহার আলি ১২৮ রানের দারুণ ভীত গড়ে দেন পাকিস্তানকে। মাঝে বাবর আজমের ৪৬ ও শেষ দিকে মোহাম্মদ হাফিজের ৩৭ বলে ৫৭ রানে ভর করে নির্ধারিত ওভার শেষে ৩৩৮ রানে থামে পাকিস্তান।