Print Date & Time : 20 June 2025 Friday 12:50 am

ভারতী এয়ারটেলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগ করছে গুগল

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম টেলিকম কোম্পানি ভারতী এয়ারটেলে এক বিলিয়ন (১০০ কোটি) ডলার বিনিয়োগ করছে গুগল। চীনকে টেক্কা দেয়া এবং ভারতের শতকোটি জনসংখ্যার বিশাল বাজার ধরতে এ অর্থ ঢালছে মার্কিন টেক জায়ান্টরা। সম্প্রতি উভয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে এ বিষয়ে এক চুক্তি সই হয়েছে। খবর: ব্লুমবাগ, এনডিটিভি, বিবিসি।

চুক্তি অনুসারে, গুগলের মূল কোম্পানি অ্যালফাবেট ৭০ কোটি ডলারে ভারতী এয়ারটেলের এক দশমিক ২৮ শতাংশ শেয়ার কিনবে। যন্ত্রাংশসহ অন্যান্য খরচ বাবদ পরের কয়েক বছরে আরও ৩০ কোটি ডলার দেবে গুগল।

এশিয়ার তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি ভারত ক্রমেই সিলিকন ভ্যালির প্রবৃদ্ধির অন্যতম চালিকাশক্তি হয়ে উঠছে, বিশেষ করে প্রযুক্তি খাতে চীনের সাম্প্র্রতিক কড়াকড়ির পর থেকে।

এয়ারটেলের আগেও ভারতে মোটা অঙ্কের বিনিয়োগ করেছে গুগল। ২০২০ সালে ৪৫০ কোটি ডলারে মুকেশ আম্বানির জিও প্ল্যাটফর্মস লিমিটেডের শেয়ার কিনেছে তারা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ‘ডিজিটাল ইন্ডিয়া’ কর্মসূচির আওতায় যৌথভাবে একটি সাশ্রয়ী স্মার্টফোন তৈরির পরিকল্পনা নিয়েছে গুগল।

গুগল বিনিয়োগ করার খবর ছড়ানোর পরপরই গতকাল ভারতী এয়ারটেলের শেয়ারের দর বেড়েছে অন্তত ছয় দশমিক ছয় শতাংশ। নয়া দিল্লিভিত্তিক প্রতিষ্ঠানটির প্রতিটি শেয়ার ৭৩৪ রুপিতে কিনছে গুগল।

গুগল ও অ্যালফাবেটের প্রধান নির্বাহী সুন্দর পিচাই এক বিবৃতিতে বলেছেন, আমাদের ‘গুগল ফর ইন্ডিয়া ডিজিটাইজেশন ফান্ড’র অধীনে স্মার্টফোন সহজলভ্য করা, নতুন ব্যবসায়িক মডেলের সমর্থনে জনসংযোগ বাড়ানো ও কোম্পানিগুলোর ডিজিটালাইজেশন যাত্রায় সহযোগিতার ধারাবাহিকতায় এ বিনিয়োগ করা হচ্ছে।

গুগলের বিনিয়োগ সুনীল মেহতার নেতৃত্বাধীন ভারতী এয়ারটেলকে ৫জি পরিকল্পনা এগিয়ে নিয়ে রিলায়েন্স জিওর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বাড়ানোর সুযোগ করে দেবে। টানা কয়েক বছর ধরে ভারতে এক নম্বর টেলিকম কোম্পানির মুকুট ধরে রেখেছে আম্বানির টেলিকম কোম্পানিটি।

চায়না ইউনিকমে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা: এদিকে জাতীয় নিরাপত্তা এবং গুপ্তচরবৃত্তির আশঙ্কাকে কারণ দেখিয়ে সর্বশেষ চীনা টেলিকম জায়ান্ট চায়না ইউনিকমকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। নির্দেশনা অনুসারে ৬০ দিনের মধ্যে চীনা প্রতিষ্ঠানটিকে যুক্তরাষ্ট্রে টেলিকম পরিষেবা সরবরাহ বন্ধ করতে হবে।

টেলিযোগাযোগ ও সম্প্রচার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নিয়ন্ত্রক সংস্থা ‘ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন’ (এফসিসি) বলছে, চীনা প্রতিষ্ঠানটির আমেরিকান ইউনিটের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অনুমোদন বাতিল করার পক্ষে সর্বসম্মত ভোট মিলেছে। এর আগে অক্টোবরে চীনা অপর প্রতিষ্ঠান চায়না টেলিকমের যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার লাইসেন্স বাতিল হয়।

এফসিসি চেয়ারম্যান জেসিকা রোজেনওরেল এক বিবৃতিতে বলেন, ‘দিন দিন প্রমাণের স্তূপ জমছে এবং এর ফলে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগ তৈরি হচ্ছে যে, চীনের মালিকানাধীন টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানগুলো আমাদের টেলিযোগাযোগ নেটওয়ার্ক নিরাপত্তার জন্য একটি মূর্তিমান হুমকি।’ ওয়াশিংটনের চীনা দূতাবাস তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য করেনি।

এর আগে গত নভেম্বরে মার্কিন সরকার জাতীয় নিরাপত্তা এবং পররাষ্ট্রনীতির উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কালো তালিকায় আরও এক ডজন চীনা কোম্পানির নাম যোগ করেছে।