ভারতের তৈরি প্রথম সাবমেরিন ‘কালভারি’

শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রায় ১৮ বছর পর ভারত তাদের নিজস্ব তৈরি সাবমেরিন বানাতে সক্ষম হলো। গতকাল বৃহস্পতিবার মুব্বাইয়ে মুম্বাই নেভিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ভারতের তৈরি আইএনএস ‘কালভারি’ সাবমেরিনটির উদ্বোধন করেন। ফলে এটি ভারতের ১৪তম সাবমেরিন হিসেবে যাত্রা করল। খবর হিন্দুস্তান টাইমস।

ফ্রান্সের ন্যাভাল গ্রুপের সঙ্গে ২০১২ সালে তিন বিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে (ভারতীয় মুদ্রায় ২৩ হাজার ৫৬২ কোটি রুপি) ভারত এ সাবমেরিন নির্মাণে চুক্তিবদ্ধ হয়। ভারতের মাজাগন ডক শিপবিল্ডারস এ সাবমেরিনটি তৈরি করে। ভারত আরও ১০টি সাবমেরিন কেনা অথবা নির্মাণের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। চীনের কাছ থেকে বাংলাদেশ ও পাকিস্তান সাবমেরিন কেনার পর এ ধরনের আধুনিক সাবমেরিন সংগ্রহে ভারত বেশ জোর দিয়েছে।

দেশটির প্রতিরক্ষাবিষয়ক বিশেষজ্ঞরা বলেন, আইএনএস ‘কালভারি’ সাবমেরিনটি দেশটির নেভি সাবমেরিন কর্মসূচিতে লক্ষ্যমাত্রা পৌঁছার একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। ২০৩০ সালের মধ্যে ভারত সরকার ২৪টি সাবমেরিন তৈরির লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে। জলশক্তি আরও বেগবান করতে ১৯৯৯ সালে ভারত সরকার সাবমেরিন নির্মাণে এক কর্মসূচি গ্রহণ করেছিল।

সাবমেরিনটির দৈর্ঘ্য ৬৭ দশমিক পাঁচ মিটার, প্রস্থ ১২ দশমিক তিন মিটার আর ওজন ১৬০০ টন। আইএনএস কালভারি ডিজেল-ইলেকট্রিক শক্তিচালিত আক্রমণাত্মক সাবমেরিন।

ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঘোষিত ‘মেক ইন ইন্ডিয়া’ উদ্যোগের অংশ হিসেবে যে ছয়টি সাবমেরিন স্থানীয়ভাবে তৈরি করা হচ্ছে, এটি তার প্রথমটি।

ভারত মহাসাগরে ১৪টি সাবমেরিন অবস্থান করছে। এর ১৩টি ১৭ থেকে ৩১ বছরের পুরোনো। কিছুদিনের মধ্যেই ভারত আরও অত্যাধুনিক ছয়টি স্টিলথ সাবমেরিন নির্মাণের দরপত্র ছাড়তে যাচ্ছে।

প্রসঙ্গত, উপমহাদেশের জলসীমায় চীন প্রভাব বিস্তার করে আসছে। নিজস্ব প্রযুক্তিতে অনেকটা এগিয়েও রয়েছে চীন। চীনের সঙ্গে টেক্কা দিতে ভারত এখন সাবমেরিনে এগোতে চাইছে।

 

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০