শেয়ার বিজ ডেস্ক: মালয়েশিয়া থেকে ভারতের পাম অয়েল কেনা বন্ধের সিদ্ধান্ত সাময়িক বলে মনে করছে কুয়ালালামপুর। গতকাল মঙ্গলবার মালয়েশিয়া সরকারের তরফ থেকে বলা হয়েছে, দুই দেশের মধ্যকার সমঝোতার ভিত্তিতে এর সমাধান করা হবে। খবর: এনডিটিভি।
সম্প্রতি ভারতের কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা বাতিল ও সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ইস্যুতে দিল্লির সমালোচনা করে মালয়েশিয়া। এর জেরে সেখান থেকে পরিশোধিত পাম অয়েল আমদানি বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয় দিল্লি। গতকাল মালয়েশিয়ার শিল্পমন্ত্রী তেরেসা কককে উদ্ধৃত করে মালয়েশিয়ার পাম অয়েল কাউন্সিলের এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘দীর্ঘ দিনের সম্পর্কের ভিত্তিতে দুই দেশ বর্তমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করবে এবং পারস্পরিক ও যৌথ স্বার্থ রক্ষায় কাজ করবে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, এ মাস থেকে বায়োডিজেল তৈরিতে পাম অয়েলের ব্যবহার শুরু হলে অপরিশোধিত পাম অয়েলের দাম বৃদ্ধি পাবে।
উল্লেখ্য, বার্ষিক ৯ মিলিয়ন টনেরও বেশি পাম তেল কেনা ভারত এ খাতে বিশ্বের বৃহত্তম আমদানিকারক দেশ। মূলত ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া থেকে এ তেল সংগ্রহ করে দেশটি।
কাশ্মীরের স্বায়ত্তশাসন বাতিলের বিষয়ে মাহাথির মোহাম্মদ সমালোচনা করেন। এ প্রেক্ষাপটে ২০১৯ সালের অক্টোবরে মালয়েশিয়া থেকে পাম তেল আমদানি বন্ধে ব্যবসায়ীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছিল ভারতের ভোজ্যতেল ব্যবসায়ীদের শীর্ষ একটি সংগঠন। জাতিসংঘ অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে ভারতকে কাশ্মীরের দখলদার শক্তি আখ্যা দিয়েছিলেন তিনি। মাহাথিরের বক্তব্যে ক্ষুব্ধ ভারত সরকারের কঠোর অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতেই আমদানি নিষিদ্ধের আহ্বান জানিয়েছিল সংগঠনটি। পরে মাহাথির ভারতের সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমালোচনা করলে এ বছর জানুয়ারির মাঝামাঝিতে আবারও সরকারের পক্ষ থেকে মালয়েশিয়ার পাম তেল বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।