শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের প্রযুক্তি খাতে চলতি বছরের প্রথমার্ধে ৯৮ হাজার ৮৩৪ কর্মী ছাঁটাই হয়েছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা। খবর: ইন্ডিয়া টুডে।
বিশ্বজুড়ে প্রযুক্তি খাতে ছাঁটাই দুশ্চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কভিড-১৯-পরবর্তী সময়ে সারা বিশ্বে এ খাতে কর্মী ছাঁটাই তীব্র হয়েছে। ২০২২ সালের পর গতবছরও আমাজন, অ্যালফাবেট, মাইক্রোসফট ও মেটার মতো বড় কোম্পানিগুলো হাজার হাজার কর্মী ছাঁটাই করেছে। শুধু ২০২৩ সালেই বিভিন্ন কোম্পানি মোট দুই লাখ ৬২ হাজার ৯১৫ কর্মীকে ছাঁটাই করেছে।
কোম্পানিগুলো বলছে, অর্থনৈতিক মন্দা ও কভিড পরিস্থিতিতে অতিরিক্ত নিয়োগের মতো বিষয়গুলোর পাশাপাশি ব্যয় হ্রাস করার লক্ষ্যে তাদের কর্মীদের দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হচ্ছে। দীর্ঘ সময় ধরে ব্যাপক হারে ছাঁটাই চলার পর প্রত্যাশা করা হয়েছিল, এই খাতটিতে চলতি বছরে কর্মী ছাঁটাই হ্রাস পাবে। তবে এমন লক্ষণ এখনও দেখা যায়নি।
ভারতে বছরের শুরু থেকে এ পর্যন্ত প্রযুক্তি খাতের প্রায় এক লাখ কর্মী তাদের কাজ হারিয়েছেন। প্রথমার্ধে আনুমানিক ৩৩৭টি প্রযুক্তি কোম্পানির পক্ষ থেকে এরই মধ্যে ৯৮ হাজার ৮৩৪ কর্মীকে ছাঁটাই করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো তাদের ব্যয় কমানোর ওপর বিশেষভাবে গুরুত্ব দিচ্ছে। এর ফলে ভবিষ্যতে আরও একাধিক বেতনভোগী ব্যক্তিকে তাদের চাকরি হারাতে হতে পারে। চাকরি হারিয়ে ফেলার ভয়ে এ খাতের কর্মচারীদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে।
ভারতে এ পরিস্থিতির মধ্যেই চাকরি থেকে সরিয়ে দেয়ার নতুন ট্রেন্ড শুরু হয়েছে, যাকে বলা হচ্ছে, সাইলেন্ট লে-অফ বা নীরবে ছাঁটাই। এ প্রক্রিয়ায় কর্মীদের কোম্পানিতে নতুন কোনো ভূমিকায় কাজ খুঁজে নেয়ার প্রস্তাব করা হয় এবং একই সঙ্গে ৩০ দিনের সময় অফার করা হয়। যদি সেই কর্মী কোনো নতুন ভূমিকায় কাজ খুঁজে পেতে ব্যর্থ হন, তাহলে তাকে দায়িত্ব থেকে অপসারণ করা হয়। এ পদ্ধতিতে কোম্পানিগুলো কোনো ঝামেলা ছাড়াই অত্যন্ত গোপনে কর্মচারীদের ছাঁটাই করতে সক্ষম হচ্ছে। এজন্য কোম্পানিটিকে কর্মচারী ছাঁটাই করার জন্য সমালোচনার সম্মুখীনও হতে হয় না।
এভাবে চলতি বছরের প্রথম পাঁচ মাসে দুই থেকে তিন হাজার কর্মচারীকে গোপনে ছাঁটাই করা হয়েছে। কোম্পানিগুলো কর্মচারীদের ছাঁটাই করার জন্য একাধিক উপায় অবলম্বন করছে। যারা প্রতিরোধ করছেন, তাদের অবিলম্বে টারমিনেট করে দেয়া হচ্ছে। এমন কর্মীদের অন্য চাকরি খুঁজে পাওয়া কঠিন হয়ে পড়ে।