শেয়ার বিজ ডেস্ক:ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক গত শুক্রবার বৈদেশিক মুদ্রার সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান প্রকাশ করেছে। পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে মজুত থাকা সোনার পরিমাণ হ্রাস পেয়েছে। খবর: ইকোনমিক টাইমস।
রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার (আরবিআই) প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ৩০ জুন শেষ হওয়া সপ্তাহে দেশটির ফরেক্স রিজার্ভ ১ দশমিক ৯ বিলিয়ন ডলার বেড়ে ৫৯৫ দশমিক ১ বিলিয়ন ডলার হয়েছে। গত মাসের প্রথম সপ্তাহেও রিজার্ভ বাড়তে দেখা গেছে।
এই সাপ্তাহিক পরিসংখ্যান অনুসারে, বৈদেশিক মুদ্রার সম্পদ ২ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে মোট বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ পৌঁছেছে ৫২৮ বিলিয়ন ডলারে।
অন্যদিকে ফরেন এক্সচেঞ্জ রিজার্ভে সঞ্চিত সোনার পরিমাণ কমেছে। আরবিআই’র পক্ষ থেকে প্রকাশিত তথ্য অনুসারে, আলোচ্য সপ্তাহে সোনার পরিমাণ ৪৭২ মিলিয়ন ডলার হ্রাস পেয়েছে। ফলে ফরেক্স রিজার্ভে গচ্ছিত মোট সোনার পরিমাণ এক ধাক্কায় বেশ খানিকটা কমে হয়ে দাঁড়িয়েছে ৪৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলারে।
একইভাবে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) কাছে দেশটির রিজার্ভের অবস্থান রিপোর্টিং সপ্তাহে ১১৮ মিলিয়ন ডলার কমে পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে নেমেছে।
প্রসঙ্গত, ২০২১ সালের অক্টোবরে ভারতের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৬৪৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের রেকর্ড অঙ্কে পৌঁছেছিল। এটিই এখন পর্যন্ত দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে থাকা সম্পদের সর্বোচ্চ পরিমাণ। বিশেষজ্ঞদের মতে, বর্তমানে বিশ্বব্যাপী উন্নয়নের কারণে চাপ পড়ছে ভারতের স্থানীয় মুদ্রা রুপির ওপর। কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেই চাপ থেকে রুপিকে রক্ষা করার জন্য ফরেক্স রিজার্ভ ব্যবহার করে। সেই কারণেই সম্পদের পরিমাণ কমছে। এর প্রভাবেই বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভে রাখা গচ্ছিত সম্পদের ক্ষেত্রে ক্রমাগত ওঠানামা করতে দেখা যায়।
সাধারণভাবে রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়া বিভিন্ন সময়ে পরিস্থিতির ওপর লক্ষ রেখে ডলার বিক্রিসহ লিকুইডিটি মানেজেমেন্টের মাধ্যমে বাজারে হস্তক্ষেপ করে, যাতে রুপির অবমূল্যায়ন রোধ করা যায়।