নিজস্ব প্রতিবেদক: আড়াই বছর পর ভারতের সঙ্গে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে কাস্টমসের যৌথ সভা জেজিসি মিটিং। এতে বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) সনদের স্বীকৃতিসহ ১৫টি বিষয় উপস্থাপন করবে বাংলাদেশ। অন্যদিকে ভারতের পক্ষ থেকে প্রায় ৯টি বিষয় তুলে ধরা হবে। আজ রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে জেজিসির ১১তম বৈঠক শুরু হবে। আগামীকাল এ বৈঠক শেষ হবে।
জানা গেছে, যৌথ সভায় বাংলাদেশ ১৫টির মতো বিষয় উপস্থাপন করবে। এর মধ্যে রয়েছেÑনিয়মিত উভয় দেশের কাস্টমস কর্তৃপক্ষের মধ্যে তথ্যের আদান-প্রদান, ভারতের পেট্রাপোলসহ অন্যান্য শুল্ক স্টেশনে তথ্যপ্রযুক্তি সেবা নিশ্চিত করা, দলুরা ও ব্যালেট শুল্ক স্টেশন চালু করা, কয়েকটি নির্বাচিত শুল্ক স্টেশন দিয়ে কার-পাস পদ্ধতি চালু করা, ভারতের শুল্ক স্টেশনগুলোয় উপযুক্ত কর্মকর্তার পদায়ন, কাজের সুবিধার্থে উভয় দেশের সীমান্তে কাস্টমস কর্মকর্তাদের অবাঁধ চলাচলের ব্যবস্থা করা, গেদে-দর্শনা রুট দিয়ে আমদানি-রফতানি কার্যক্রম জোরদারকরণ, ভারতের শুল্ক স্টেশনগুলোয় অশুল্ক বাধা দূর করা, ভারতের আরোপ করা কাউন্টারভেইলিং ডিউটি মওকুফ, শুল্ক স্টেশনগুলোর ভারত অংশে অবকাঠামো উন্নয়ন, আগরতলাসহ অন্য শুল্ক স্টেশনগুলোয় পণ্যের গুণগত মান পরীক্ষাকরণ, শুল্ক স্টেশনের উন্নয়নের বিষয়ে যৌথ উপ-কমিটির সভা করা, স্থানীয় বিভিন্ন ধরনের লজিস্টিক সেবার বিষয়ে প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা বৃদ্ধিকরণ, ভারতের এলওসির অধীনে ৬০০ বাস ও ৫০০ ট্রাক আমদানি ত্বরান্বিতকরণ এবং ভারতে বিএসটিআইয়ের সনদের স্বীকৃতি প্রদান।
অন্যদিকে ভারত যেসব এজেন্ডা চূড়ান্ত করেছে তার মধ্যে রয়েছে, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরে সাত দিন ২৪ ঘণ্টা কার্যক্রম চালু রাখা, সীমান্ত পার হয়ে আসার পর কার্গো ক্লিয়ারেন্স, বন্দরের বিভিন্ন ধরনের বাধা দূরীকরণ, কার-পাস পদ্ধতির বাস্তবায়ন, শুল্ক স্টেশনে অবকাঠামো উন্নয়ন, বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের বিভিন্ন ধরনের উপাত্ত বিনিময়, চোরাচালানবিরোধী কার্যক্রম জোরদার করার বিষয়ে আলোচনা এবং আমদানি-রফতানি চুক্তির ক্ষেত্রে ব্যাংক গ্যারান্টি ও বন্ডের বিষয়ে আলোচনা করা।
এর আগে ২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে নয়া দিল্লিতে জেজিসির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সভায় বাংলাদেশ দলের প্রধান ছিলেন সে সময়ের এনবিআরের শুল্কনীতির সদস্য ফরিদ উদ্দিন। এবারও সদস্য পর্যায়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।