Print Date & Time : 23 June 2025 Monday 4:44 am

ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক অকৃত্রিম: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক: তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক অকৃত্রিম। এ সম্পর্কের সঙ্গে অন্য কারও সম্পর্কের তুলনা হয় না। গতকাল সচিবালয়ে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতের হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের বিদায়ী সাক্ষাতের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। তথ্য সচিব কামরুন নাহার এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

মন্ত্রী জানান, ভারতীয় হাইকমিশনার সচিব মর্যাদায় পদোন্নতি পেয়ে দিল্লি যাচ্ছেন, এটা ছিল তার বিদায়ী সাক্ষাৎ। তথ্যমন্ত্রী রীভা গাঙ্গুলী দাশের এ পদোন্নতিতে আন্তরিক অভিনন্দন জানান। এ সময় ভারতের সদ্যপ্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জিকে বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু হিসেবে উল্লেখ করেন এবং তার প্রয়াণে আবারও গভীর শোক জানান তিনি। মন্ত্রী উল্লেখ করেন, ভারতের পাশাপাশি আজ বাংলাদেশও তার অকৃত্রিম বন্ধুর প্রয়াণে রাষ্ট্রীয় শোক পালন করছে।

ড. হাছান বলেন, হাইকমিশনার রীভা গাঙ্গুলী দাশের ঢাকা অবস্থানকালে প্রথমবারের মতো আমাদের বিটিভি পুরো ভারতবর্ষে ফ্রি ডিসের মাধ্যমে দেখা যাচ্ছে। বাংলাদেশ বেতারের অনুষ্ঠানমালাও সেখানে সম্প্রচার হচ্ছে। এগুলো বড় কাজ, বহু বছর ধরে যা নিয়ে আলাপ-আলোচনা চললেও আগে জট খোলেনি। এবার জট খুলে এগুলো করতে আমরা সক্ষম হয়েছি। ভারত ও বাংলাদেশের যৌথ প্রযোজনায় বঙ্গবন্ধুর ওপর একটি বায়োপিক নির্মিত হচ্ছে। কভিডের কারণে এর কাজ আপাতত বন্ধ আছে। তবে খুব সহসাই কাজ শুরু হবে। আমরা খুব সহসা দু’দেশের যৌথ প্রযোজনায় মুক্তিযুদ্ধের ওপর একটি ডকুমেন্টারি ফিল্মও শুরু করব।

রীভা গাঙ্গুলী দাশ এ সময় সাংবাদিকদের বলেন, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জির মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী শোকবার্তা পাঠিয়েছেন। প্রণব মুখার্জি বাংলাদেশের খুবই বড় বন্ধু ছিলেন। আমি আগেও বাংলাদেশে ৯৮ থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত কাজ করেছি, তখন প্রণব বাবু এসেছিলেন। আমি তার সঙ্গে নোয়াখালীতে গান্ধী আশ্রমে গিয়েছিলাম। আগামী বছর বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ৫০ বছর এবং দু’দেশের সম্পর্ক অনেক প্রাচীন হলেও ২০২১ সালে কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০ বছর হবে। দু’দেশের অনেক ক্ষেত্র আছে, যেখানে আমরা একসঙ্গে কাজ করতে পারি।

বৈঠক শেষে মন্ত্রী ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনারকে বঙ্গবন্ধুর জীবনভিত্তিক তিনটি গ্রন্থ ও আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকা হস্তান্তর করেন এবং রীভা গাঙ্গুলীও মন্ত্রীর হতে স্মৃতিস্মারক তুলে দেন।