নিজস্ব প্রতিবেদক:‘আমরা বারবার বলে আসছি, ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নে অভিন্ন নদীগুলোর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় করতে হবে, সীমান্ত হত্যা বন্ধ হওয়া উচিত। কানেক্টিভিটিতে আমাদের কী লাভ হচ্ছে, এটা জনগণের কাছে স্পষ্ট করা হোক। সরকার বলে, এত বন্ধুত্বÑকিন্তু সীমান্তে হত্যা বন্ধ করতে পারে না। মৌলিক সমস্যার সমাধান হচ্ছে না। এখন প্রত্যাশা করি, বাংলাদেশ সরকার দেশের মানুষের দাবি ও অধিকার অনুযায়ী সব সমস্যার সমাধান করবে।’
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর হলি ফ্যামেলি রেড ক্রিসেন্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিব-উন নবী খান সোহেলকে দেখে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একথা বলেন।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে আমরা বছরজুড়ে কর্মসূচি নিয়েছি। সেই কর্মসূচি আমরা পালন করছি। গত ১৭ মার্চ থেকে সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন ও বিদেশি মেহমানদের আসার কথা বলে আমাদের কর্মসূচিগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মানুষের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা হয়েছে। প্রতিবেশী তিন দেশের রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী এসে গেছেন।
‘২৬ মার্চ আমাদের বন্ধুদেশ ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি আসবেন। আমরা সব সময় বলে আসছি, দেশি-বিদেশি বন্ধুদের আমরা সব সময় স্বাগত জানাই। দুর্ভাগ্য হচ্ছে যে, এই সরকার সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করছে জনগণকে বাদ দিয়ে। জনগণ সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। অনুষ্ঠানগুলো যা হচ্ছে, তাতে মুক্তিযোদ্ধাদের অংশগ্রহণ নেই। এমনকি রাজনৈতিক দলগুলোরও অবস্থান নেই। বিদেশি মেহমানদের নিয়ে এসে এখানে দেখানো হচ্ছে, বলানো হচ্ছেÑদেশে উন্নয়নের লহরী বয়ে যাচ্ছে।’
তিনি বলেন, স্বাধীনতার ৫০ বছরে দুর্ভাগ্যক্রমে আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। মানুষের অধিকার হারিয়ে ফেলেছি। যে পরিস্থিতিতে সরকার দেশ পরিচালনা করছে, তা কোনোক্রমে গণতান্ত্রিক বলা যায় না। এমনকি দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব আজ বিপন্নÑএ বিষয়গুলো আমাদের উদ্বিগ্ন করছে। আমরা চাই দেশে শান্তি থাকুক। আমরা চাই দেশে বিদেশিরা আসুক। অর্থনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন হোক। স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রেখে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে চাই।
ফখরুল আরও বলেন, করোনার সমস্যা সমাধানে সরকার ব্যর্থ। করোনা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। সরকার সময় পেয়েছে, কিন্তু হাসপাতালে বেড নেই। মানুষের মধ্যে কোনো সচেতনতা বাড়ানোর কার্যকর পদক্ষেপ নেই। করোনা মোকাবিলায় সরকারের উচিত জরুরি ভিত্তিতে সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া। লকডাউন ইস্যুতে সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান বা ব্যবস্থা করতে হবে।
বিএনপি মহাসচিব জানান, প্রেস ক্লাবের সামনে তাদের প্রতিবাদ-সমাবেশে পুলিশের গুলিতে হাবিব-উন নবী খান সোহেল গুরুতর আহত হয়েছেন। সোহেলের দ্বিতীয় দফায় অপারেশন হয়েছে। তার ক্ষত খুব ভয়াবহ। যেহেতু তার ডায়াবেটিস আছে, সেহেতু খুব সাবধানে তার চিকিৎসাটা করা হচ্ছে। আপাতত তিনি ভালো আছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার ও শায়রুল কবির খান।