শেয়ার বিজ ডেস্ক: কালোটাকা ও অর্থ পাচারের অভিযোগে এক লাখের বেশি কোম্পানির নিবন্ধন বাতিল করেছে ভারত। একই সঙ্গে সন্দেহজনক লেনদেন হচ্ছেÑএমন আরও ৩৭ হাজার প্রতিষ্ঠান চিহ্নিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। এছাড়া অবৈধ সম্পদের তথ্য গোপনে সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে আরও কঠিন কর্মসূচি গ্রহণের হুশিয়ারি দিয়েছেন তিনি। খবর টাইমস অব ইন্ডিয়া।
শনিবার ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব ইন্ডিয়া (আইসিএআই) আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ হুশিয়ারি বার্তা দেন নরেন্দ্র মোদি। তিনি বলেন, দেশের তিন লাখের বেশি নিবন্ধিত প্রতিষ্ঠান সন্দেহজনক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত। তাদের কার্যক্রম নিয়ে নানা প্রশ্ন পাওয়া যাচ্ছে। কর ফাঁকি ও বিদেশে অর্থ পাচার করছে তারা। এতে ভবিষ্যতে আরও বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে।
চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসদের উদ্দেশে তিনি বলেন, কর ফাঁকি ও অর্থ পাচারের সঙ্গে জড়িত কোনো ব্যক্তি সম্পর্কে জানলে তাদের সতর্ক করুন। তাদের আইন সম্পর্কে বলুন। আমি দুটি পরিচ্ছন্নতা ক্যাম্পেইন শুরু করেছি; একটি দেশ পরিষ্কার, অন্যটি অর্থনীতি পরিষ্কার। এটি ধারাবাহিকভাবে চলতে থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আগামী দুবছরের মধ্যে সুইজারল্যান্ডের ব্যাংকগুলোর সঙ্গে রিয়েল টাইম ভিত্তিতে স্বয়ংক্রিয় তথ্য বিনিময় শুরু হবে। এরপর কালোটাকা অর্জন ও অর্থ পাচারকারী ব্যক্তিদেরই সমস্যা বেশি হবে।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, সুইস ব্যাংকে জমাকৃত অর্থের স্বয়ংক্রিয় তথ্য বিনিময়ের উদ্যোগের সুফল ইতোমধ্যেই পাওয়া যাচ্ছে। সেখানে ভারতীয়দের অর্থ জমার পরিমাণ ৪৫ শতাংশ কমে গেছে।
আইন ভঙ্গকারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে সতর্ক করে তিনি বলেন, কালোটাকা উৎপাদনে নিয়োজিতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। অর্থের উৎস সম্পর্কেও বিস্তারিত খোঁজ নেওয়া হচ্ছে। কালোটাকা ও অর্থ পাচারের বিরুদ্ধে এ অভিযান কোনো সাধারণ সিদ্ধান্ত নয়।