Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:27 pm

ভারতে চালু হচ্ছে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যবিমা

শেয়ার বিজ ডেস্ক: অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ৫০ কোটি ভারতীয়কে চিকিৎসা সুবিধা দিতে বিশ্বের বৃহত্তম স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্প ‘আয়ুষ্মান ভারত’-এর কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে দেশটির সরকার। গতকাল রোববার দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ঝাড়খন্ডের রাজধানী রাচিতে দরিদ্রদের জন্য স্বাস্থ্যবিমার বৃহৎ এ প্রকল্পের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। খবর: এনডিটিভি।
এর আগে চলতি বছর ১৫ আগস্ট ভারতের স্বাধীনতা দিবসের ভাষণে লালকেল্লা থেকে মোদি এ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পের কথা ঘোষণা দিয়েছিলেন। অর্থনৈতিকভাবে পিছিয়ে পড়া ১০ কোটিরও বেশি পরিবারকে সুবিধা দেওয়ার উদ্দেশ্যে বিশ্বের বৃহত্তম এ স্বাস্থ্যসেবা প্রকল্পটি নেওয়ার কথা জানিয়েছে ভারত সরকার। এর মাধ্যমে প্রতিটি পরিবার পাঁচ লাখ রুপির স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা পাবে।
উদ্বোধনের পর প্রথম দিনেই ভারতের অনেক রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের এ প্রকল্পের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কথা রয়েছে। ঝাড়খন্ডের যেসব পরিবার এ আয়ুষ্মান ভারত বিমা প্রকল্পের সুবিধা পাবে, তাদের কাছে এরই মধ্যে মোদির লেখা দুই পৃষ্ঠার একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বৃহৎ এ প্রকল্পের গুরুত্ব ও সুবিধাগুলোর রূপরেখা তুলে ধরেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। ১০ কোটি ৭৪ লাখ পরিবার এ বিমা সুবিধা পাবে। পর্যায়ক্রমে তাদের কাছেও এ চিঠি যাবে। চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী মোদির একটি ছবিও থাকছে।
প্রকল্পটির মূল স্থপতি ড. বিনোদ পাল বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী গতকাল এ প্রকল্পের উদ্বোধন করলেও পণ্ডিত দীনদয়াল উপাধ্যায়ের জš§দিনে ২৫ সেপ্টেম্বর থেকেই এ স্বাস্থ্যবিমা চালু হবে।’ যেসব রাজ্যে এ বিমা কার্যকর হতে যাচ্ছে, সেখানে ব্যয়ের ৬০ শতাংশ বহন করবে কেন্দ্রীয় সরকার, বাকিটা যাবে রাজ্য সরকারের তহবিল থেকে।
উচ্চাভিলাষী এ প্রকল্পের নাম প্রথমে রাখা হয়েছিল ‘প্রধানমন্ত্রী জন আরোগ্য অভিযান’; পরে তা বদলে ‘আয়ুষ্মান ভারত’ করা হয়। দরিদ্র, গ্রামীণ দুস্থ পরিবার ও শহরের কিছু শ্রমিক পরিবারের সদস্যরা প্রকল্পটির আওতায় পড়বে বলে জানিয়েছে ভারত সরকার। চার ক্যাটেগরির দুস্থ পরিবারের সদস্যরা সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার ক্ষেত্রে এ বিমা সুবিধা পাবে। কেউই যাতে বাদ না পড়ে, সেজন্য পরিবারগুলোর সদস্যসংখ্যা কিংবা বয়সের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের বিধিনিষেধ রাখা হয়নি।
সুবিধা পাওয়ার ক্ষেত্রে আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র কিংবা রেশন কার্ডের যে কোনোটি থাকলেই চলবে। অন্যান্য রাজ্যে চালু হলেও তেলেঙ্গানা, উড়িষ্যা, দিল্লি, কেরালা ও পাঞ্জাব কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে একইসঙ্গে প্রকল্পটি চালু করতে সম্মত হয়নি।