শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন, আসন্ন মাসগুলো অতীতের তুলনায় আরও বেশি উষ্ণ হতে পারে। এ কারণে ২০২২ সালের মতো তীব্র তাপপ্রবাহ দেখা দিতে পারে দেশটিতে। এতে ফসল কম হওয়া ও বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের আশঙ্কা করছেন আবহাওয়াবিদরা। খবর: এনডিটিভি।
ভারতে গত মাসটি ছিল ১৯০১ সালের পর সবচেয়ে বেশি উষ্ণ। এর চেয়েও বেশি উষ্ণ হতে পারে আগামী মাসগুলো।
ভারতের আবহাওয়া কার্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, দেশজুড়ে মাসিক সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রার হিসেবে চলতি বছর ফেব্রুয়ারি ছিল ১৯০১ সালের পর সবচেয়ে বেশি উষ্ণ।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তরের জ্যেষ্ঠ বিজ্ঞানী এস সি ভান বলেন, মার্চ, এপ্রিল, মে এ তিন মাস ভারতের বেশিরভাগ এলাকায় তাপপ্রবাহের আশঙ্কা করা হচ্ছে।
এ উষ্ণ আবহাওয়ার কারণে ভারতে টানা দ্বিতীয়বারের মতো গমের উৎপাদন কম হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ভারত বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম গম উৎপাদনকারী দেশ। চীনের পর এর অবস্থান। মার্চের তাপমাত্রা কেমন হবে, তার ওপর গমের ফলন নির্ভর করে।
ভারতে এক শতাব্দীর বেশি সময়ের মধ্যে গত বছরের মার্চ মাসটি ছিল সবচেয়ে উষ্ণ। এতে শস্যের ফলন কম হয়েছে এবং দেশটির সরকার রপ্তানি কমিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।
চলতি মার্চে উপদ্বীপ অঞ্চল ছাড়া অন্য এলাকাগুলোয় তাপমাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে ওপরে থাকার আভাস রয়েছে। তাপপ্রবাহের কারণে ফলন কম হলে রপ্তানি কমিয়ে দেয়ার এ ধারা অব্যাহত থাকতে পারে। ফলন কম হলে স্থানীয়ভাবে খাদ্যদ্রব্যের দাম নিয়ন্ত্রণ প্রচেষ্টার ওপরও প্রভাব পড়বে।
জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সবচেয়ে ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোর একটি ভারত। তাপপ্রবাহ, বন্যা ও তীব্র খরার মতো চরম আবহাওয়া পরিস্থিতিতে প্রতি বছর দেশটির হাজারো মানুষ মারা যান।
এছাড়া কৃষি উৎপাদন কমে অর্থনৈতিক দুরবস্থা বাড়ে। তাপপ্রবাহের কারণে জলবিদ্যুতের উৎসগুলো শুকিয়ে যাওয়ায় জীবাশ্ম জ্বালানির চাহিদা বেড়ে যায়।
এতে জ্বালানি সরবরাহব্যবস্থার ওপর চাপ পড়ে। ২০১৫ সাল থেকে ভারতের কয়েকটি রাজ্যকে দাবদাহের কবলে পড়তে দেখা গেছে। তখন থেকে ২০২০ সাল নাগাদ তাপপ্রবাহ বেড়ে দ্বিগুণের বেশি হয়েছে।