শেয়ার বিজ ডেস্ক: তাপামাত্রা বাড়তে থাকায় ভারতজুড়ে তীব্র দাবদাহের সতর্কবার্তা দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। দেশটির উত্তরপশ্চিম ও মধ্যাঞ্চলের অধিকাংশ অংশে চলতি সপ্তাহে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ধীরে ধীরে দুই থেকে চার সেলসিয়াস বাড়বে বলে পূর্বাভাস দিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ (আইএমডি)। এ অবস্থায় ভারতে বিদ্যুৎ সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয় কয়লার অভাব ও গ্রীষ্মের গরমে বিদ্যুতের চাহিদা বৃদ্ধি পাওয়ায় এ শঙ্কা তৈরি হয়েছে। খবর: এনডিটিভি।
এরই মধ্যে মহারাষ্ট্র, রাজস্থান, গুজরাট, দিল্লি, পাঞ্জাব, উত্তর প্রদেশসহ বেশ কয়েকটি রাজ্যে কয়লার ঘাটতি দেখা গেছে। ফলে বিদ্যুৎবিভ্রাট হতে পারে। এমনকি দিল্লিতে হাসপাতাল ও মেট্রো পরিচালনায়ও বিদ্যুৎ সরবরাহে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
এরই মধ্যে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় কয়লাবাহী মালগাড়ি দ্রুত চলাচলের অনুমতি দেয়ার জন্য কিছু যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিল করেছে ভারতীয় রেল। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোয় কয়লার জোগান স্বাভাবিক রাখতেই এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ভারতীয় রেলওয়ের নির্বাহী পরিচালক গৌরব কৃষ্ণ বনসাল বলেন, যাত্রীবাহী ট্রেন বাতিলের এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তা আবার চালু হবে। ভারতের প্রায় ৭০ শতাংশ বিদ্যুৎ উৎপাদিত হয় তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোয়। সেখানে কয়লার মজুত ১৭ শতাংশ কমে গেছে। এদিকে ভারতের অনেক অংশে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাওয়ায় বেড়েছে বিদ্যুতের চাহিদা। এরই মধ্যে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ তাপপ্রবাহ সতর্কতা জারি করেছে। মার্চ মাসে ভারতের গড় তাপমাত্রা ছিল ৯২ ডিগ্রি ফারেনহাইট (৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস)। ১৯০১ সাল থেকে ভারতের তাপমাত্রা পরিমাপ করার পর থেকে এবারই এক মাসে সর্বোচ্চ গড় তাপমাত্রা রেকর্ড হলো।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি রাজ্য সরকারগুলোর মুখ্যমন্ত্রীদের বলেছেন, দেশে তাপমাত্রা দ্রæত
বৃদ্ধি পাচ্ছে আর স্বাভাবিক সময়ের চেয়ে আগেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাড়তে থাকা তাপমাত্রার কারণে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী মোদি।
আবহাওয়া-বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর সায়েন্স অ্যান্ড এনভায়রনমেন্ট জানিয়েছে, চলতি বছরের আগাম দাবদাহে ১৫টি রাজ্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, এমনকি মনোরম তাপমাত্রার জন্য পরিচিত হিমাচল প্রদেশও এর বাইরে ছিল না। আসছে সপ্তাহে রাজধানী দিল্লিতে পারদ ৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়ে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আইএমডির জ্যেষ্ঠ বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা নরেশ কুমার চলতি দাবদাহের জন্য স্থানীয় বায়ুমণ্ডলীয় কারণগুলোকে দায়ী করেছেন।