ভারতে দেশি চ্যানেল চালুর দাবি

শোবিজ ডেস্ক: ফেডারেশন অব টেলিভিশন প্রফেশনালস অর্গানাইজেশনের (এফটিপিও) চলমান আন্দোলনের সঙ্গে নতুন করে যুক্ত হলো আরও আট দফা দাবি। তবে দীর্ঘদিন ধরে ভারতীয় বাংলা চ্যানেল বন্ধের যে দাবি সামাজিকমাধ্যমে উঠছিল, সেটি এতে যুক্ত হয়নি। বরং ভারতেই বাংলাদেশি চ্যানেল চালুর পক্ষে দাবি সংযুক্ত হয়েছে। খবর বাংলা ট্রিবিউন।

নতুন দাবিগুলো হলো:

১. বিজ্ঞাপন প্রচারে গ্রহণযোগ্য সময়সীমা নির্ধারণ।

২. নাটকের বাজেট যৌক্তিক হারে বৃদ্ধি করা।

৩. কপিরাইট প্রথা বহাল করা।

৪. যোগ্য ব্যক্তিদের নিয়ে প্রিভিউ কমিটি করা।

৫. বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে যথাযথ টিআরপি ব্যবস্থা চালু করা।

৬. ভারতে বাংলাদেশের চ্যানেল চালু এবং তাদের চ্যানেল ডাউনলিংক ফি’র সঙ্গে আমাদের চ্যানেল ডাউনলিংকের অসমতা দূর করা।

৭. এফটিপিওকে সরকারি স্বীকৃতি দেওয়া (কোনো নাটক বা অনুষ্ঠান নির্মাণে অবশ্যই শিল্পী-কলাকুশলীদের এফটিপিও সংশ্লিষ্ট সংগঠনের তালিকাভুক্ত সদস্য হতে হবে)।

গতকাল বেলা ১১টায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এফটিপিও নেতারা তাদের নতুন এই দাবিগুলো তুলে ধরেন। সংগঠনটির আহ্বায়ক নাট্যজন মামুনুর রশীদ বলেন, ‘গেল ৩০ নভেম্বর শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত সফল সমাবেশ পর্যালোচনা করে আমরা দেখেছি যে, আরও কিছু প্রাণের দাবি আছে যা খুবই সঙ্গতিপূর্ণ। তথ্যমন্ত্রী বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালককে প্রধান করে এফটিপিও সদস্যদের নিয়ে একটি কমিটি করার ঘোষণা দিয়েছেন। সে কমিটিতে আমরা আমাদের নতুন দাবিগুলো উত্থাপন করতে চাই।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই আন্দোলনের মূল লক্ষ্য দর্শকদের মানসম্মত অনুষ্ঠান উপহার দেওয়া এবং লাগামহীনভাবে বিজ্ঞাপন অত্যাচার থেকে সম্মানিত দর্শকদের রক্ষা করা।’

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত, ডিরেক্টরস গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক

এসএ হক অলীক, সাংগঠনিক সম্পাদক এসএম কামরুজ্জামান সাগর, টেলিভিশন প্রোগ্রাম প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মনোয়ার পাঠান, নাট্যকার সংঘের সভাপতি মাসুম রেজা, অভিনেত্রী-নির্মাতা রোকেয়া প্রাচী, প্রযোজক আলী বশির, নির্মাতা চয়নিকা চৌধুরীসহ আরও অনেকে।

সংবাদ সম্মেলনে এফটিপিওর সদস্য সচিব গাজী রাকায়েত সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ‘সরকার এর মধ্যেই আমাদের আগের দেওয়া পাঁচটি দাবির একটি বাস্তবায়ন করেছে। এর জন্য আমরা আনন্দিত। আমরা আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই সেসব টিভি চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে, যারা আমাদের দাবিকে সমর্থন জানিয়ে ডাবিং সিরিয়াল প্রচার বন্ধ করেছেন। আশা করছি ১৫ ডিসেম্বরের মধ্যে দেশের প্রতিটি চ্যানেল আমাদের এই দাবিটি বাস্তবায়ন করবে।’

‘শিল্পে বাঁচি, শিল্প বাঁচাই’ স্লোগান নিয়ে গেল ৩০ নভেম্বর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে জড়ো হয়েছিল টেলিভিশনসংশ্লিষ্ট ১৩টি সংগঠন। শিল্পী-নির্মাতা ও কলাকুশলীদের স্মরণকালের সবচেয়ে বড় এই সমাবেশের সমন্বয় করছে সংগঠনগুলো নিয়ে গঠিত এফটিপিও।

সংগঠনগুলোর মধ্যে আছে শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড, প্রডিউসার অ্যাসোসিয়েশন, নাট্যকার সংঘসহ আরও বেশকটি সংগঠন।

Add Comment

Click here to post a comment

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০