শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার বাড়ছে। গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোও এসব গাড়ি তৈরিতে জোর দিচ্ছে। বৈদ্যুতিক গাড়ি চার্জ দেওয়ার পরিকাঠামো নিয়ে কিছুটা জটিলতা ছিল। অবশেষে সে বাধা কাটতে চলেছে। গত সোমবার দেশটির সরকার জানিয়েছে, এ ধরনের চার্জিং স্টেশন তৈরির জন্য আলাদা নিবন্ধন দরকার হবে না। খবর আনন্দবাজার।
প্রতিবেদনমতে, বেশি করে বৈদ্যুতিক গাড়ি চালানোর ওপর জোর দিলেও উপযুক্ত পরিকাঠামো ছাড়া তা অসম্ভব। বিদ্যুৎ আইনে নিবন্ধন ছাড়া বিদ্যুৎ সংবহন, বণ্টন ও বিক্রি করা যায় না। এ নিয়ম চার্জিং স্টেশন তৈরির পথে বাধা হচ্ছিল। এ বাধা এখন কেটে গেছে। ভারতের বিদ্যুৎমন্ত্রী জানিয়েছেন, চার্জ দেওয়া একটি পরিষেবা। এর স্টেশন খুলতে নিবন্ধন নিতে হবে না।
সাম্প্রতিক সময়ে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরিতে জোর দিচ্ছে কোম্পানিগুলো। ভারতের ব্যস্ততম রাস্তায় ১০ লাখ বৈদ্যুতিক রিকশা নামানোর পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে দেশটির বৃহত্তম রাইড শেয়ারিং কোম্পানি ওলা। উবারের প্রধান প্রতিপক্ষ এ কোম্পানিটি সোমবার জানায়, প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে আগামী ১২ মাসের মধ্যে তারা ১০ হাজার বৈদ্যুতিক রিকশা নামাতে যাচ্ছে।
ভারতে তিন চাকার অটোরিকশার বেশিরভাগই গ্যাসচালিত। এবার ব্যাটারিচালিত রিকশার দিকে চালকদের আগ্রহী করার চেষ্টা করছে কোম্পানিটি। ২০২১ সালের মধ্যেই ১০ লাখ বৈদ্যুতিক রিকশা রাস্তায় নিয়ে আসার পরিকল্পনা নিয়েছে ওলা।
এদিকে বিদ্যুৎচালিত গাড়ি নিয়ে আসার ক্ষেত্রে ভারত সরকারেরও নিজস্ব পরিকল্পনা রয়েছে। ২০৩০ সালের মধ্যে সব সম্ভব না হলেও বেশিরভাগ গাড়ি বিদ্যুৎচালিত করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে সরকার। কিন্তু অবকাঠামো ঘাটতি এবং গাড়ি তৈরির ব্যয়বহুল প্রযুক্তির মতো বেশকিছু প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হচ্ছে দেশটি।
এমন সময় নিবন্ধন না লাগার সিদ্ধান্তকে তাই স্বাগত জানিয়েছেন সোসাইটি অব ম্যানুফ্যাকচারার্স অব ইলেকট্রিক ভেহিক?লসের কর্মকর্তা সোহিন্দর গিল।
