শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতের দক্ষিণাঞ্চলীয় রাজ্য কর্ণাটকে নির্বাচনের একদিন পরই গত সোমবার পেট্রল ও ডিজেলের দাম আবার বেড়েছে। এ দিন দেশটিতে খুচরা বাজারে জ্বালানির দাম বেড়ে পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে পৌঁছায়। বিরোধী দলের নেতারা বলছেন, নির্বাচনের জন্যই সরকার তেলের দাম স্থির রেখেছিল কিন্তু কর্ণাটকের নির্বাচন শেষ হওয়ার পরই পণ্যটির দাম বাড়িয়েছে। খরব রয়টার্স।
দীর্ঘদিন ধরেই ভারতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী ধারায় থাকলেও গত ২৪ এপ্রিলের পর টানা ২০ দিন দাম স্থির ছিল। অথচ ওই সময়ে বিশ্ববাজারে পণ্যটির দাম সাড়ে তিন বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছায়। বিশ্লেষকরা আশঙ্কা করেছিলেন, হয়তো কর্ণাটক ভোটের কারণেই সরকার তেলের দাম বাড়াচ্ছে না। কারণ গুজরাটে ভোটের আগেও তেলের দাম স্থির ছিল। কিন্তু ভোট শেষ হওয়ার পরই পণ্যটির দাম বাড়ায় রাষ্ট্রীয় তেল কোম্পানিগুলো। তাদের আশঙ্কাই সত্যি হয়েছে। এবার কর্ণাটকে শনিবার ভোট অনুষ্ঠিত হওয়ার পরই পণ্যটির দাম বেড়ে যায়। গত সোমবার কলকাতায় লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম বেড়েছে ১৮ পয়সা এবং ডিজেলে বেড়েছে পাঁচ পয়সা। গতকাল মঙ্গলবার জ্বালানি দুটির দাম বেড়েছে ১৫ ও ২২ পয়সা, যা গত পাঁচ বছরের জন্য সর্বোচ্চ।
কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইটে বলেছেন, নরেন্দ্র মোদির অর্থনীতির মূল তত্ত্বই সাধারণ মানুষকে ঠকানো। দেশটির সাবেক অর্থমন্ত্রী পি চিদম্বরমও বলেছেন, তেলের দামের দৌড় ফের শুরু হলো। এতদিন তা বাড়েনি কর্ণাটক ভোটের কারণেই।
ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি তুষার সেন জানান, কর্ণাটক ভোটের জন্যই কেন্দ্র জ্বালানি তেলের দাম বাড়ায়নি। এখন দাম আরও বাড়তে পারে।
তবে কেন্দ্রীয় সরকার দাবি করছে, দাম ঠিক করে
তেল কোম্পানি। তাই ভোটের প্রশ্ন অমূলক। এদিকে ইন্ডিয়া অয়েল বলেছিল, ক্রেতাদের কথা ভেবেই দাম বাড়াচ্ছে না তারা।
ভারতে পেট্রল ও ডিজেলের দাম পাঁচ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ
