শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে শ্রমনিবিড় বস্ত্র খাতের স্বার্থে প্রায় ৩০০ পণ্যে আমদানি শুল্ক বাড়ানোর কথা ভাবছে নরেন্দ্র মোদি সরকার। বিনিয়োগ টানতে কমানো হতে পারে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগবিধির কড়াকড়িও। দেশীয় উৎপাদন ও কর্মসংস্থানকে উৎসাহিত করতেই এ ভাবনা বলে মনে করছে সংশ্লিষ্ট মহল। খবর আনন্দবাজার।
সূত্রমতে, যেসব পণ্যে শুল্ক বাড়ানো হতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে পোশাক ও পোশাক তৈরির কাপড়। এসব পণ্যে বর্তমানে শুল্ক পাঁচ থেকে ১০ শতাংশের মধ্যে। এ শুল্ক বাড়িয়ে ২০ শতাংশ করা হতে পারে। শিগগিরই বিষয়টি নিয়ে নির্দেশিকা জারি করতে পারে অর্থ মন্ত্রণালয়। তবে সংসদের অধিবেশন চালু থাকায় আগে প্রস্তাবটি সেখানে পেশ করতে হবে।
গত বছরের ১ জুলাই জিএসটি কার্যকর হওয়ার পর বিভিন্ন খাতের পাশাপাশি বস্ত্রশিল্পের ব্যবসায়ীদের মধ্যেও ক্ষোভ ছড়িয়েছিল। উত্তপ্ত হয়েছিল নরেন্দ্র মোদির রাজ্য গুজরাটের সুরাতসহ বিভিন্ন জায়গা। বাদ ছিল না পশ্চিমবঙ্গও। ই-ওয়ে বিল নিয়েও অসন্তোষ রয়েছে এ শিল্পের। কারণ কাপড়, বোতামসহ নানা কাঁচামাল পরিবহন করতে হয় কারখানা থেকে। প্রত্যেকবারই লাগে ই-ওয়ে বিল।
বিরোধীদের বক্তব্য, দেশে যেসব ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি কর্মসংস্থান হয়, তার প্রথম সারিতেই আছে বস্ত্রশিল্প, যার বড় অংশজুড়ে রয়েছে ছোট কারখানা। জিএসটির ধাক্কায় তাদের প্রায় সবারই ক্ষতি হয়েছে। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের তথ্যই বলছে, কর্মসংস্থানের পরিস্থিতি সুবিধার নয়। এমন পরিস্থিতিতে বস্ত্রশিল্পকে সুরাহা দেওয়াটাকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করে। এ ক্ষোভ কমাতে গত জুলাইয়ে ৫০টির বেশি পণ্যে আমদানি শুল্ক দ্বিগুণ করে কেন্দ্র। এবার আরও কিছু পণ্যে একই পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
বস্ত্র খাত ছাড়াও মধ্যবিত্তকে খুশি করতে প্রায় ১০০ পণ্যে জিএসটি কমিয়েছে ভারত সরকার। ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পকে সুবিধা দিতেও শুরু হয়েছে তৎপরতা।

Print Date & Time : 22 June 2025 Sunday 3:31 am
ভারতে বস্ত্রপণ্যে বাড়তে পারে আমদানি শুল্ক
আন্তর্জাতিক ♦ প্রকাশ: