শেয়ার বিজ ডেস্ক: বৈদেশিক লেনদেনে অনিয়মের অভিযোগে বিবিসির বিরুদ্ধে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টের অধীন মামলা দায়ের করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। খবর: দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস।
একটি অফিশিয়াল সূত্র গতকাল বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, বিবিসি ইন্ডিয়ার বিরুদ্ধে বৈদেশিক মুদ্রা আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে ফরেন এক্সচেঞ্জ ম্যানেজমেন্ট অ্যাক্টে মামলা নথিভুক্ত করেছে ইডি।
বিবিসির বিরুদ্ধে বিদেশি তহবিল ব্যবহারের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এজন্যই গণমাধ্যমটির বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানানো হয়।
গত ফেব্রুয়ারিতে বিবিসির নয়াদিল্লি ও মুম্বাইয়ের কার্যালয়ে প্রায় ৬০ ঘণ্টা অভিযান চালিয়েছিল ভারতের আয়কর বিভাগ।
দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র প্রকাশের কয়েক সপ্তাহ পর ওই অভিযান চালানো হয়।
অভিযানের সময় বিবিসি কর্মীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোনসহ ব্যক্তিগত জিনিসপত্র জব্দ করেন কর কর্মকর্তারা।
তল্লাশির ঘটনায় চরম ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ভারতের প্রধান বিরোধী রাজনৈতিক দল কংগ্রেস। দলটির অফিশিয়াল টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে এক টুইটে বলা হয়, প্রথমে বিবিসির ডকুমেন্টারি নিষিদ্ধ করা হলো। এখন বিবিসি কার্যালয়ে অভিযান চালালো আয়কর বিভাগ। এটি মূলত একটি অঘোষিত জরুরি অবস্থা।
এর আগে ১৭ জানুয়ারি বিবিসি-২ নামের চ্যানেল ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ নামের একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচার করে। সেখানে ২০০২ সালে গুজরাটে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা চলাকালে মোদির ভূমিকা তুলে
ধরা হয়। সম্প্রচারের পরপর তথ্যচিত্রটি ভারতজুড়ে ব্যাপক বিতর্কের জš§ দেয়।
ভারত সরকার তথ্যপ্রযুক্তি আইনের অধীন জরুরি ক্ষমতা ব্যবহার করে এরই মধ্যে তথ্যচিত্রটির লিংক শেয়ার করা ভিডিও ও টুইট ব্লক করেছে। যদিও এখনও ওই তথ্যচিত্রটি ভারতে নিষিদ্ধ করা হয়নি। তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তা ব্লক করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
প্রায় এক ঘণ্টার ওই তথ্যচিত্রের সবচেয়ে আকর্ষণীয় বিষয় হলো, গুজরাট দাঙ্গা নিয়ে যুক্তরাজ্যের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রীর একটি গোপন প্রতিবেদন। ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত, অর্থাৎ দাঙ্গার সময় ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী জ্যাক স্ট্র প্রতিবেদনটি তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন।