শেয়ার বিজ ডেস্ক : ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির চাহিদা বাড়াতে শুধু ভর্তুকি নয়, গুডস অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্যাক্স (জিএসটি) হার কমানোরও দাবি জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবি, দীর্ঘ মেয়াদে মুনাফার জন্য বিভিন্ন কর ছাড় জরুরি। খবর আনন্দবাজার।
সম্প্রতি ভারতের কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গয়াল বলেছিলেন, ২০৩০ সালের মধ্যে ডিজেল ও পেট্রলচালিত গাড়ি বন্ধ করে শুধু বৈদ্যুতিক গাড়ির ব্যবহার নিশ্চিত করতে চায় সরকার। সড়ক পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গডকড়ীরও হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছিলেন, ব্যবসায়ীরা উদ্যোগী না হলে, সরকার সেই সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য করবে তাদের। কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রশ্নÑগাড়ির মতো শিল্পে পরিকল্পনা বাস্তবায়িত করতে সময় লাগে, এভাবে জোর করে সরকারি সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত? এই শিল্পের সংগঠন সিয়াম সম্প্রতি ওই সময়সীমা ২০৪৭ সাল পর্যন্ত পেছানোর প্রস্তাব দিয়েছে। বিষয়টিতে তাড়াহুড়া করার পক্ষে নয় জার্মান বহুজাতিক কোম্পানি মার্সিডিজ বেঞ্জও।
সিয়ামের মতে, ভারতে বৈদ্যুতিক গাড়ির বিক্রি খুব কম হওয়ার মূল কারণ দুটি। প্রথমত, সাধারণ গাড়ির তুলনায় এসব গাড়ির দাম দুই থেকে আড়াই গুণ বেশি। দ্বিতীয়ত, ব্যাটারি চার্জ। গাড়ির গতি বাড়াতে বড় ব্যাটারি ব্যবহার করলে আরও বাড়তে পারে দাম। তবে একবার কেনার পরে চালানো ও রক্ষণাবেক্ষণের খরচ পেট্রল-ডিজেল গাড়ির চার ভাগের এক ভাগ।
‘ফেম’ নামের সরকারি প্রকল্পের আওতায় বৈদ্যুতিক গাড়ি কিনতে কিছু ক্ষেত্রে এককালীন ভর্তুকি পান ক্রেতা। কিন্তু সিয়ামের যুক্তি, ভর্তুকি দিয়ে শুরুতে চাহিদা বাড়লেও দীর্ঘ মেয়াদে ব্যবসা লাভজনক করতে করছাড় ও অন্যান্য সুবিধাও জরুরি। তাদের দাবি, এতে জিএসটির হার ১২ থেকে কমে পাঁচ শতাংশ হোক। পথ করে পুরো ছাড় দিয়ে ‘মোটর ভেহিকল’ আইন সংশোধন হোক। গাড়ি কিনতে যারা ঋণ নেবেন না, তাদের জন্য গাড়ির দামের ৩০ শতাংশ করযোগ্য আয় বাদ দিতে হবে। আর যারা ঋণ নেবেন, যত দিন ঋণ চলবে, তাদের তত দিন সুদে ছাড় দিতে হবে।