ভারতে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ৫.৪৯%

শেয়ার বিজ ডেস্ক: ভারতে সেপ্টেম্বরে খুচরা মূল্যস্ফীতির হার বেড়েছে। দেশটিতে ৯ মাসের মধ্যে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যস্ফীতি হয়েছে গত মাসে। ভারতের কেন্দ্রীয় পরিসংখ্যান মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গত মাসে মূল্যস্ফীতির হার ৫ দশমিক ৪৯ শতাংশে উঠেছে, এর মধ্যে খাদ্যে মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৯ দশমিক ২৪ শতাংশ। খবর: এনডিটিভি।

গত বুধবার মুদ্রানীতি ঘোষণার সময় ভারতের কেন্দ্রীয় ব্যাংক রিজার্ভ ব্যাংক অব ইন্ডিয়ার গভর্নর শক্তিকান্ত দাস বলেছিলেন, সেপ্টেম্বরে ভারতের খুচরা বাজারের মূল্যস্ফীতি অনেকটা বাড়তে পারে। শেষমেশ তার সেই আশঙ্কা সত্যি হলো।
সেপ্টেম্বরে ভারতের বাজারে সবজির খুচরা মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৩৫ দশমিক ৯৯ শতাংশ, ডালের ৯ দশমিক ৮১ শতাংশ আর ফলের ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ। এখন প্রতি কেজি আলুর গড় দাম ৩৫ রুপি, পেঁয়াজ ৬০ রুপি, টমেটো ১০০ রুপি ও বেগুন ১৫০ রুপির আশপাশে। প্রতিটি ফুলকপির দাম ৭০ রুপি থেকে ৯০ রুপি পর্যন্ত উঠেছে।

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের দাবি, গত বছরের প্রতিকূল ভিত্তির নিরিখে হিসাব করা এবং প্রতিকূল আবহাওয়ার ফলে খুচরা মূল্যস্ফীতি বেড়েছে।

ভোক্তারা বলছেন, বাজারের অবস্থা যে পরিসংখ্যানের চেয়েও ভয়াবহ, তা খাদ্যপণ্য ও সবজির দামে স্পষ্ট। খাদ্য মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ২৪ শতাংশে উঠেছে, আগস্টে যা ছিল ৫ দশমিক ৬৬ শতাংশ। গত বছর সেপ্টেম্বরে ভারতের খুচরা মূল্যস্ফীতি ছিল ৫ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। চলতি বছরের জুলাই ও আগস্টে তা ছিল যথাক্রমে ৩ দশমিক ৬ ও ৩ দশমিক ৬৫ শতাংশ।

একই সঙ্গে ভারতের পাইকারি বাজারের মূল্যস্ফীতির হিসাব দিয়েছে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। খাদ্যের মূল্যবৃদ্ধির জেরে পাইকারি মূল্যস্ফীতি ১ দশমিক ৩১ শতাংশ থেকে ১ দশমিক ৮৪ শতাংশে উঠেছে। খাদ্যপণ্যের দাম সামগ্রিকভাবে বেড়েছে ১১ দশমিক ৫৩ শতাংশ। সবজির দাম বেড়েছে ৪৮ দশমিক ৭৩ শতাংশ আর আলু ও পেঁয়াজের দাম যথাক্রমে ৭৮ দশমিক ১৩ শতাংশ ও ৭৮ দশমিক ৮২ শতাংশ। বিশ্লেষকেরা বলছেন, আগামী কয়েক মাস খুচরা বাজারে এর প্রভাব থাকতে পারে।

খাদ্যের দাম বৃদ্ধি নিয়ে মোদি সরকারের সমালোচনা করেছে কংগ্রেস। মূল্যবৃদ্ধির এই ঘটনাকে ‘আর্থিক ট্র্যাজেডি’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছে দলটি।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০