Print Date & Time : 17 June 2025 Tuesday 1:11 am

‘ভারত-আমেরিকার প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ মদতে অস্থিতিশীল হয়েছে পাহাড়’

নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত-আমেরিকার প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদতে পাহাড়ে অস্থিতিশীলতা তৈরি হয়েছে। তারা ‘আদিবাসী’ প্রচারণা ও ‘উপজাতি সন্ত্রাসবাদ’ উসকে দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার ষড়যন্ত্র করছে। তারই অংশ হিসেবে পাহাড়ে জাতিগত সংঘাত সৃষ্টি করতে একদল হিংস্র সন্ত্রাসী স্কুলশিক্ষক সোহেল রানাকে নির্মমভাবে শহিদ করেছে।

এ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সোহেল রানা হত্যার বিচার ও দেশের অখণ্ডতা বজায় রাখতে সাত দফা দাবি জানিয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে ঢাবি শিক্ষার্থীদের প্ল্যাটফর্ম ‘স্টুডেন্টস ফর সভারেন্টি’। গতকাল শুক্রবার
বিকাল সাড়ে ৪টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে শিক্ষার্থী, সামাজিক সংগঠনের সদস্য ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামকে বাংলাদেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করতেই এই ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এতে ভারত-আমেরিকা মদত দিচ্ছে। ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের নৃতাত্ত্বিক পরিচয়ের মিথ্যা প্রোপাগান্ডা ‘আদিবাসী’ প্রচারণা ও ‘উপজাতি সন্ত্রাসবাদ’ উসকে দেয়া হচ্ছে। হিংস্র উপজাতিরা স্কুলশিক্ষক সোহেল রানাকে হত্যা করেছে। তারা জাতিগত দাঙ্গা সৃষ্টি করতে চায়।

সংগঠনটির আহ্বায়ক মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র রুখতে এবং বাংলাদেশের অখণ্ডতা রক্ষার্থে সাত দফা দাবি তুলে ধরে সেগুলো বাস্তবায়নের জন্য সরকারের কাছে জোর দাবি জানাচ্ছি। সমাবেশে মুহম্মদ জিয়াউল হক বলেন, বাংলাদেশের পার্বত্য চট্টগ্রামে ভারত উপজাতি বিচ্ছিন্নতাবাদী সন্ত্রাসীদের প্রশিক্ষণসহ অন্যান্য সহায়তা দিচ্ছে। তাছাড়া সম্প্রতি ভারত থেকে প্রকাশ্যে বাংলাদেশের পাহাড়কে বিচ্ছিন্ন করার হুমকি আসছে।

তিনি আরও বলেন, এই একই কাজ যদি ভারতের সেভেন সিস্টার্সের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশ করে, তখন কিন্তু ভারতও শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না। ভারতের সেভেন সিস্টার্স বা চিকেন নেকের কণ্ঠ চেপে ধরার অনেক উপাদানই বাংলাদেশের নাগালে রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ অন্য রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করা পছন্দ করে না। একইভাবে ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে (ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল) আমেরিকার স্বার্থ রয়েছে। বাংলাদেশ যদি এখানে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালন না করে মার্কিন স্বার্থের বিপরীত ব্লকে চলে যায়, তাহলে কিন্তু আমেরিকা এই অঞ্চলে সুবিধা করতে পারবে না। ঘুড়ির নাটাই শুধু ভারত কিংবা আমেরিকার হাতেই নেই, বরং বাংলাদেশের হাতেও রয়েছে।

সমাবেশে হিল হিউম্যান রাইটস অ্যাক্টিভিস্ট মিনহাজ ত্বকি বলেন, দীর্ঘদিন ধরে পাহাড়ের উপজাতি-অধ্যুষিত এলাকায় বাঙালি শিক্ষকদের বের করে দেয়ার জন্য একটা ট্রামকার্ড ব্যবহার করা হচ্ছে। সেটি হলো ধর্ষণ নাটক। সোহেল রানা হত্যাও এর ব্যতিক্রম নয়। এভাবে পাহাড়ে সেনাবাহিনীকে ক্রিমিনাল আর বাঙালিদের সেটেলার হিসেবে পরিচিত করানো হচ্ছে। আসলে পাহাড়ে উপজাতি ছাড়া আর কেউ থাকতে পারবে না, তারা এটাই বলতে চায়। আমি বলব, সাবধান হয়ে যাও, না হয় তোমাদের ট্রাম্পকার্ড তোমাদের গায়ে গিয়ে পড়তে পারে।