নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় চুক্তিগুলোর ৭৪ শতাংশই আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান।
স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সংসদের আলোচনায় জাতীয় পার্টির একেএম মাঈদুল ইসলাম প্রশ্নটি করেন। এর জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, বাংলাদেশের সঙ্গে চীনের ১০১টি সমঝোতা ও দ্বিপক্ষীয় চুক্তি, ভারতের সঙ্গে ১৩৪টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল এবং রাশিয়ার সঙ্গে ২৮টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসব চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকলগুলোর মধ্যে ৭৪ শতাংশ আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে এবং বিএনপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে ১৬ শতাংশ স্বাক্ষরিত হয়েছে। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, স্বাধীনতার পর থেকে ভারত, চীন ও রাশিয়ার সঙ্গে বাংলাদেশের মোট ২৬৩টি চুক্তি, সমঝোতা স্মারক ও প্রটোকল স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে ১৯৪টি স্বাক্ষরিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে, ৪২টি বিএনপি আমলে এবং এরশাদ সরকারের আমলে নয়টি ও সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়ে আটটি।
সূত্রমতে, স্বাধীনতার ছয় বছরের মাথায় চীনের সঙ্গে ১৯৭৭ সালের জানুয়ারিতে প্রথম চুক্তি সই হয়। চীনের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে চারটি, এরশাদ সরকারের আমলে তিনটি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের আমলে ২৭টি, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে ৬২টি এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের মেয়াদে পাঁচটি। ভারতের সঙ্গে সই হওয়া চুক্তি, স্মারক ও প্রটোকলের মধ্যে বঙ্গবন্ধু সরকারের আমলে ১১টি, জিয়াউর রহমানের আমলে চারটি, এরশাদ সরকারের আমলে ছয়টি, খালেদা জিয়ার নেতৃত্বাধীন বিএনপি সরকারের দুই মেয়াদে পাঁচটি, বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের তিন মেয়াদে ১০৬টি এবং সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে দুটি। এছাড়া রাশিয়ার সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তি ও সমঝোতা স্মারকের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর আমলে তিনটি, খালেদা জিয়ার সরকারের আমলে দুটি, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে ২২টি এবং ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বাধীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে হয়েছে একটি।