নিজস্ব প্রতিবেদক: ভারত থেকে ১৭৭ কোটি টাকা ব্যয়ে ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সিদ্ধ চাল আসছে। সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি চাল আমদানির জন্য এ-সংক্রান্ত একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে। এছাড়া বৈঠকে এক হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৩ টাকা ব্যয়ে ছয়টি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
গতকাল বুধবার অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামালের সভাপতিত্বে এক ভার্চুয়াল বৈঠকে ক্রয় প্রস্তাবগুলো অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকে কমিটির সদস্য, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিনিয়র সচিব, সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে শেষে অনুমোদিত ক্রয় প্রস্তাবের নানা দিক তুলে ধরেন অর্থমন্ত্রী ও মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার।
বৈঠক শেষে অর্থমন্ত্রী বলেন, আজ অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১০ম ও সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির ১২তম সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। অর্থনৈতিক বিষয়-সংক্রান্ত কমিটির অনুমোদনের জন্য দুটি ও ক্রয় কমিটির অনুমোদনের জন্য ছয়টি প্রস্তাব উত্থাপন করা হয়। ক্রয় কমিটির প্রস্তাবনাগুলোর মধ্যে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের তিনটি, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের একটি, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের একটি ও স্থানীয় সরকার বিভাগের একটি প্রস্তাব ছিল।
ক্রয় কমিটির অনুমোদিত ছয়টি প্রস্তাবে মোট অর্থের পরিমাণ এক হাজার ৪৯৩ কোটি ৪৯ লাখ ৪৫ হাজার ৭৭৩ টাকা। মোট অর্থায়নের মধ্যে জিওবি থেকে ব্যয় হবে ৯৫৮ কোটি ৯৫ লাখ ৩৯ হাজার ৯১৬ টাকা ও প্রকল্প সাহায্য (এডিবি, এএফডি ও ইআইবি ঋণ) ৫৩৪ কোটি ৫৪ লাখ পাঁচ হাজার ৮৫৭ টাকা।
বৈঠক শেষে অতিরিক্ত সচিব ড. শাহিদা আক্তার সাংবাদিকদের জানান, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের খাদ্য অধিদপ্তর ৫০ হাজার মেট্রিক টন নন-বাসমতি সেদ্ধ চাল আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাবের অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ভারতীয় প্রতিষ্ঠান মেসার্স পিকে এগ্রি লিংক প্রাইভেট লিমিটেড এ চাল সরবরাহ করবে। এতে ব্যয় হবে ১৭৭ কোটি ১০ লাখ ৯০ হাজার ৪০০ টাকা। প্রতি মেট্রিক টন চালের দাম পড়বে ৪৩০ মার্কিন ডলার।
তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের পেট্রোবাংলার এক্সেলারেট যুক্তরাষ্ট্রের এনার্জি এলপির কাছ থেকে ৩৩ লাখ ৬০ হাজার এমএমবিটিইউ এলএনজি আমদানির একটি ক্রয় প্রস্তাব অনুমোদন দেয়া হয়েছে। প্রতি ইউনিট এলএনজির দাম ছয় দশমিক ৫৩ মার্কিন ডলার হিসাবে মোট ব্যয় হবে ২১৮ কোটি সাত লাখ ২৯ হাজার ২৩ টাকা।
এছাড়া বৈঠকে স্থানীয় সরকার বিভাগের অধীন ঢাকা ওয়াসার ঢাকা এনভায়রনমেন্টাল সাসটেইনেবল ওয়াটার সাপ্লাই (ডিইএসডব্লিউএস) প্রকল্পের প্যাকেজ-২-এর আওতায় গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার থেকে বারিধারা পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার পরিশোধিত পানির ট্রান্সমিশন লাইন নির্মাণকাজে চীনের সিএএমসি ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেডের প্রস্তাবে অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। এতে ব্যয় হবে ৭৭৭ কোটি ৪০ লাখ পাঁচ হাজার ২৭ টাকা।