শেয়ার বিজ ডেস্ক: প্রায় সাড়ে তিন মাস বন্ধ থাকার পর ভারত থেকে আবার পেঁয়াজ আসা শুরু হয়েছে। দিনাজপুরের হিলি ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে গতকাল এসব পেঁয়াজ বাংলাদেশে আসে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন। গত বছর ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত সরকার বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এরপর ২৮ ডিসেম্বর ভারত পেঁয়াজ রপ্তানির নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নতুন বছরের প্রথম দিন থেকে কার্যকর হবে বলে আদেশ জারি করে। খবর: বিডিনিউজ।
হিলি স্থলবন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ হারুন বলেন, ‘শনিবার বিকাল সাড়ে ৩টায় ভারত থেকে হিলি চেকপোস্ট দিয়ে পেঁয়াজবোঝাই ভারতীয় একটি ট্রাক হিলি স্থলবন্দরে প্রবেশ করেছে।’ ওই ট্রাকে ১৯ টন পেঁয়াজ এসেছে বলে জানিয়েছেন এর আমদানিকারক মাহফুজার রহমান বাবু।
এছাড়া চাঁপাইনবাবগঞ্জের সোনামসজিদ স্থলবন্দর দিয়ে সাত ট্রাক পেঁয়াজ এসেছে বলে জানিয়েছেন বন্দর ব্যবস্থাপক মাঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, তাছাড়া আরও কয়েকটি ট্রাক প্রবেশের জন্য ভারতের মহদিপুর স্থলবন্দরে রয়েছে। সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ এসেছে।
ভোমরা স্থল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম বলেন, শনিবার অন্তত ৯টি ট্রাকে ২৪২ মেট্রিক টন ভারতীয় পেঁয়াজ ভোমরা বন্দরে প্রবেশ করেছে। এছাড়া ভারতীয় ঘোজাডাঙ্গা এলাকায় ২০-২৫টি ট্রাক বন্দরে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে।
এক প্রতিবেদনে রয়টার্স জানিয়েছে, নতুন মৌসুমের পেঁয়াজ উঠতে শুরু করায় গত কয়েক সপ্তাহে ভারতে নিত্যপ্রয়োজনীয় এ পণ্যটির দাম অনেকটা কমে এসেছে। সে কারণে দেশটির বাণিজ্য মন্ত্রণালয় তাদের পেঁয়াজ রপ্তানি নীতি সংশোধন করে রপ্তানি বন্ধের আদেশ প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
অভ্যন্তরীণ বাজারে মূল্য বৃদ্ধি ও মজুতে ঘাটতির কারণে গত ১৪ সেপ্টেম্বর পেঁয়াজ রপ্তানিতে ওই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল ভারত। ফলে বাংলাদেশের বাজারে হু হু করে বাড়তে থাকে পেঁয়াজের দাম, একপর্যায়ে প্রতি কেজি পেঁয়াজ ১৩০ টাকাতেও বিক্রি হয়। এ পরিস্থিতিতে মিয়ানমার, পাকিস্তান, চীন, মিসর, তুরস্কসহ বিভিন্ন দেশ থেকে নানা রঙের ও স্বাদের পেঁয়াজ আমদানি করে পরিস্থিতি সামাল দেয়ার চেষ্টা করে সরকার।