নিজস্ব প্রতিবেদক: বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী বলেছেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও ভারতের বস্ত্র খাত একসঙ্গে এগিয়ে যাবে। গতকাল বুধবার রাজধানীর লেকশোর হোটেলে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইন্ডাস্ট্রি ফোরামের (আইবিটিআইএফ)’ এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের বস্ত্র খাতের সম্প্রসারণ ও রপ্তানি বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই দিনব্যাপী প্রথম সভা ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়।
মন্ত্রী বলেন, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে দুই দেশের বস্ত্র খাত বিশ্বব্যাপী আরও সম্প্রসারিত হবে। দুই দেশের বস্ত্র খাতের ব্যবসা-বাণিজ্যে যেসব প্রতিবন্ধকতা রয়েছে, আলোচনার মাধ্যমে তা দূর করা হবে। ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফ বিষয়ে আরও বিস্তর আলোচনা সাপেক্ষে দুই দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই সিদ্ধান্ত হবে বলে আমি বিশ্বাস করি। তিনি বলেন, আমরা উভয় দেশের যৌথ সহযোগিতার মাধ্যমে বস্ত্র খাতের সম্ভাবনা উম্মোচনের চেষ্টা করব। ফলে বস্ত্র খাতের সঙ্গে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে। দু’দিনের আলোচনার মাধ্যমে ‘ইন্ডিয়া-বাংলাদেশ টেক্সটাইল ফোরাম’ কিছু সিদ্ধান্তে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পেরেছে, যা বস্ত্র খাতের টেকসই উন্নয়নে সচেতনতা বৃদ্ধি ও তথ্য ঘাটতি দূর করতে সহায়তা করবে।
বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, বস্ত্র খাতের উন্নয়নে এ ফোরাম প্রতিবছর খুব নিখুঁতভাবে আমদানি-রপ্তানির চিত্র পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করবে, যাতে উভয় দেশ তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারে। উভয় দেশের সংশ্লিষ্টরা ট্যারিফ ও নন-ট্যারিফের বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারবে। এছাড়া বিনিয়োগ সম্ভাবনা ও বাণিজ্য সহযোগিতার বিষয়ে দুই দেশে খাতটির ক্ষেত্র আরও সম্প্রসারিত হবে।
ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস বলেন, প্রতিবেশী দেশ হিসেবে ভারত বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকার দিয়ে আসছে। বস্ত্র ও পাট খাতের উন্নয়নে দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করে যাবে।

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন এফবিসিসিআই’র সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান, ভারতীয় বস্ত্র মন্ত্রণালয়ের সচিব রবি কাপুর, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের সচিব লোকমান হোসেন মিয়া, জুট ডাইভারসিফিকেশন অ্যান্ড প্রমোশন সেন্টারের (জেডিপিসি) নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আবুল কালাম প্রমুখ।