শেয়ার বিজ ডেস্ক: কেনিয়ায় চলমান ভারি বৃষ্টিতে দেশটির নাগরিকদের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। ১ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টিতে আগামী মে পর্যন্ত চলতে বলে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ পূর্ভাবাস দিয়েছে। এতে ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন। খবর সিনহুয়া।
টানা এ বর্ষণে দেশটির রাজধানী নাইরোবির জীবনযাত্রায় সবচেয়ে বেশি নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে। শাকসবজি, ফল, খাদ্য, পোশাকের মতো পণ্যের খুচরা বিক্রেতারা লোকসানে রয়েছেন। সকাল ও সন্ধ্যায় কর্মব্যস্তার সময়টাতেই চার ঘণ্টা করে বৃষ্টি থাকে। এতে রাজধানীতে হকাররাও ঘুরে ঘুরে তাদের পণ্য বিক্রি করতে পারছেন না।
নাইরোবির হকার নেলসন নানগু বলেন, সাধারণত মাসের শেষে লোকজনের হাতে যখন অর্থ থাকে, তখন প্রতিদিন ২০ ডলারের পণ্য ঘুরে ঘুরে বিক্রি করি। কিন্তু সকাল ও সন্ধ্যায় কর্মব্যস্ত সময়টায় ভারি বৃষ্টির কারণে এ মাসে আমি ব্যবসা করতে পারিনি। বৃষ্টির কারণে জমে থাকা পানির কারণে ক্রেতাদের কাছে পৌঁছাতে পারে না নানগু। এছাড়া বৃষ্টির কারণে রাস্তায় ট্রাফিক সিগনালে আটকেপড়া গাড়ির জানালাও বন্ধ রাখে যাত্রীরা। সকালে পত্রিকা দিতেও হিমশিম খাচ্ছেন হকাররা। এছাড়া রাস্তার পাশে পুরোনো পোশাক বিক্রিও বন্ধ রয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন ছোট ব্যবসায়ীরা।
এদিকে বিভিন্ন শপিং মলেও বিক্রি কম। কারণ ক্রেতারা বাইরে বের হতে পারছেন না। ব্যবসায়ী জয়সি মনগিমা বলেন, ‘যখন বৃষ্টি হয়, তখন ব্যবসায় মন্দা থাকে। ভারি বৃষ্টিপাতে রাস্তাঘাট কর্দমাক্ত থাকে। অনেক রাস্তা পানিতে তলিয়ে যায়। এসব কারণে ক্রেতা কমে যায়। সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত দোকান খোলা রাখলেও ক্রেতার দেখা মিলে না।’ অন্যদিকে ভারায়চালিত গাড়িগুলোর চালকরাও জানিয়েছে বৃষ্টির কারণে তাদের ব্যবসায় মন্দার কথা।
বিশ্বব্যাংক তাদের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৃষ্টির কারণে ব্যবসা কমে যাওয়া, সম্পদের ক্ষতি, রাস্তাঘাট ও ফসলের ক্ষতির কারণে কেনিয়োর অর্থনীতি নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। মানুষের জীবনযাত্রা বিপর্যস্ত হচ্ছে।
তবে বৃষ্টির কারণে ইতিবাচক খবর হলোÑএতে খাদ্য ও বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ে। এ দুই উপকরণই মূল্যস্ফীতিতে বড় অবদান রাখে। কেনিয়ার পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য মতে, শুধু খাদ্যই মূল্যস্ফীতিতে ৩৬ শতাংশ অবদান রাখে। অন্যদিকে পরিবহন, আবসন, পানি, বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্য জ্বালানি মিলে মূল্যস্ফীতিতে অবদান রাখে ২৭ শতাংশ।