নিজস্ব প্রতিবেদক: কভিড-১৯ সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে সরাসরি বিচার কার্যক্রম আবার বন্ধ হলো।
আজ থেকে বিচারকাজ ভার্চুয়ালি চলবে বলে নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী, যা গতকাল সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানান সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল মো. আলী আকবর।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘করোনা সংক্রমণ-উদ্ভূত পরিস্থিতিতে বুধবার থেকে আদালত কর্তৃক তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার আইন-২০২০ এবং এতদসংক্রান্ত জারিকৃত প্র্যাকটিস ডাইরেকশন অনুসরণ করার মাধ্যমে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের সকল বেঞ্চের বিচারিক কার্যক্রম পরিচালিত হবে।’
কভিড মহামারির মধ্যে দেড় বছরের বেশি সময় পর গত ১ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়েছিল। দুই মাস না গড়াতেই আবার ভার্চুয়াল আদালতে ফিরতে হলো।
মহামারি শুরুর পর আইন প্রণয়নের মাধ্যমে বাংলাদেশের আদালতে ভার্চুয়ালি বিচারের পথ তৈরি করা হয়।
২০২০ সালের মার্চের শেষ দিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হলে দেশের সব আদালতও বন্ধ হয়ে গিয়েছিল।
পরে সুপ্রিম কোর্টের অনুরোধে মামলার বিচার, বিচারিক অনুসন্ধান, দরখাস্ত বা আপিল শুনানি, সাক্ষ্য বা যুক্তিতর্ক গ্রহণ, আদেশ বা রায় দিতে পক্ষদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে আদালতকে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহারের ক্ষমতা দিয়ে আইন করা হয়। এরপর ওই বছর ১১ মে ভার্চুয়াল আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়।
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ কমতে থাকলে প্রথমে কিছু ক্ষেত্রে স্বাস্থ্যবিধি মেনে শারীরিক উপস্থিতিতে নিম্ন আদালতের কার্যক্রম শুরু হয়। পরে হাইকোর্টের কয়েকটি বেঞ্চেও শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারিক কার্যক্রম চালু হয়। পাশাপাশি ভার্চুয়াল আদালতও চালু থাকে।
তবে দেশের সর্বোচ্চ আদালত, অর্থাৎ আপিল বিভাগ ও চেম্বার আদালত ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মেই চলে আসছিল। এরপর গত ১ ডিসেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে শারীরিক উপস্থিতিতে বিচারকাজ শুরু হয়।