Print Date & Time : 21 June 2025 Saturday 4:05 pm

ভার্চুয়াল শুনানিতে আরও ৬০৪৭ আসামির জামিন

  নিজস্ব প্রতিবেদক: গত সপ্তাহের পঁাচ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল উপস্থিতির মাধ্যমে সারা দেশের অধস্তন আদালত থেকে বিভিন্ন মামলায় আরও ছয় হাজার ৪৭ আসামির জামিন হয়েছে। গতকাল সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র ও হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান। করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে টানা দেড় মাস দেশের সব আদালত বন্ধ থাকার পর গত ১১ মে থেকে ভার্চুয়াল আদালতে জামিন শুনানি শুরু হয়।

সাইফুর রহমান বলেন, ‘সেই থেকে গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ২৫ কার্যদিবসে দেশের অধস্তন ভার্চুয়াল আদালতে বিভিন্ন মামলার আসামিদের ৭৩ হাজার ১১৬টি জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি করে ৩৯ হাজার ২০২ আসামির জামিন হয়েছে।’ গত সপ্তাহে অধস্তন আদালতে ভার্চুয়াল শুনানিতে ১২ হাজার ৬৯৭টি জামিন আবেদন নিষ্পত্তি করে ছয় হাজার ৪৭ আসামির জামিন হয়েছে।

সাইফুর জানান, গত সপ্তাহে ঢাকা বিভাগে জামিন হয়েছে এক হাজার ৩৫৩ আসামির। আর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ময়মনসিংহ বিভাগে এক হাজার ১৯০ আসামির জামিন হয়েছে। এছাড়া চট্টগ্রাম বিভাগে ৯৩৮ আসামির, রংপুর বিভাগে ৩৫৪, বরিশাল বিভাগে ১৯৫, রাজশাহী বিভাগে ৭১৪, খুলনা বিভাগে ৮০৫ ও সিলেট বিভাগে ৩৮১ আসামির জামিন হয়েছে গত সপ্তাহে। এর বাইরে সারা দেশে নারী শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে ১৯২টি জামিন আবেদনের নিষ্পত্তি করে ৭০ জনকে এবং শিশু আদালতে ৮১টি আবেদনের নিষ্পত্তি করে ৪৭ শিশুকে জামিন দেওয়া হয়েছে।

এদিকে সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিশেষ কর্মকর্তা সাইফুর রহমান বলেন, ‘গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত মোট ২৫ কার্যদিবসে ভার্চুয়াল আদালতের মাধ্যমে মোট জামিনপ্রাপ্ত শিশুর সংখ্যা ৫৩৬ জন। এ পর্যন্ত অভিভাবকের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে ৪৭১ শিশুকে।’ বাকি ৬৫ শিশুর মধ্যে ৩২ শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে আছে। আর কেন্দ্রের বাইরের ৩৩ শিশু সরাসরি আদালত থেকে জামিন পেয়েছে।

কভিড-১৯ মহামারির কারণে সাধারণ ছুটির মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবহার করে আদালতের বিচারকাজ চালানোর জন্য গত ৯ মে অধ্যাদেশ জারি করা হয় রাষ্ট্রপতির দপ্তর থেকে। পরদিন ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনার ‘প্র্যাকটিস ডাইরেকশন’ জারি করেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। সেদিনই অর্থাৎ ১০ মে সুপ্রিম কোর্ট থেকে তিনটি আলাদা ‘প্র্যাকটিস’ নির্দেশনার পাশাপাশি ভার্চুয়াল কোর্ট পরিচালনা-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। এরপর ১১ মে থেকে শুরু হয় দেশের বিচার বিভাগের ইতিহাসে প্রথম ভার্চুয়াল আদালতের যাত্রা।