Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:28 pm

ভালো শেয়ারের দর দ্রুত ওঠানামা করে না

প্রতি রবি থেকে বৃহস্পতিবার পুঁজিবাজারের বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে এনটিভি ‘মার্কেট ওয়াচ’ অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার করে। বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ বিবেচনায় তার গুরুত্বপূর্ণ অংশ নিয়ে শেয়ার বিজের এর নিয়মিত আয়োজন ‘এনটিভি মার্কেট ওয়াচ’ পাঠকের সামনে তুলে ধরা হলো:

পুঁজিবাজারে সাধারণত দুই ধরনের বিনিয়োগকারী রয়েছে, ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা বিচার-বিশ্লেষণ করে ভালো কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করে। এক্ষেত্রে তাদের পছন্দ থাকে ফান্ডামেন্টাল শেয়ার। তবে বাজারে ভালো শেয়ারের দর দুর্বল শেয়ারের মতো দ্রুত ওঠানামা করে না। গতকাল এনটিভির মার্কেট ওয়াচ অনুষ্ঠানে এ বিষয়টি আলোচনায় উঠে আসে। হাসিব হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আলোচক ছিলেন ওয়ান সিকিউরিটিজ লিমিটেডের সিইও আমিনুল ইসলাম এবং পুঁজিবাজার বিশ্লেষক আবু সাঈদ আহমেদ, এফসিএ।

আমিনুল ইসলাম বলেন, আমাদের বাজারে ক্ষুদ্র ও প্রাতিষ্ঠানিক এ দুই ধরনের বিনিয়োগকারী আছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীরা সব সময় বিচার-বিশ্লেষণ করে ফান্ডামেন্টাল শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। তারা সাধারণত দীর্ঘ সময়ের জন্যই কোনো শেয়ারে বিনিয়োগ করেন। সেক্ষেত্রে তাদের সব সময়ই পছন্দ থাকে ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের দিকে। আমাদের বাজারে দেখা যায়, ভালো শেয়ারের দর দুর্বল শেয়ারের মতো দ্রুত ওঠানামা করে না। একই জায়গায় স্থির থাকে। তারপরও মেধাবী বিনিয়োগকারীরা ঘুরেফিরে ফান্ডামেন্টাল শেয়ারগুলোতেই ফিরে আসে। তার প্রমাণ জিপি, স্কয়ার ফার্মার মতো ভালো শেয়ারগুলোর গতিবিধি দেখলে বোঝা যায়। সবদিক বিবেচনায় আমি মনে করি, ফান্ডামেন্টাল শেয়ারগুলোতেই বিনিয়োগকারীদের থাকা উচিত। কারণ এ শেয়ারগুলো একটু সময় নিলেও চূড়ান্তভাবে অনেক ভালো মুনাফা পাওয়া যায়। তাই ফান্ডামেন্টাল শেয়ারের বিকল্প কিছু নেই বলে মনে করি। তাছাড়া বিনিয়োগের ক্ষেত্রে শেয়ারের দর একটি বিবেচ্য বিষয়। শেয়ারটি অতিমূল্যায়িত না অবমূল্যায়িত আছে, তা দেখে বিচার-বিশ্লেষণ করে বিনিয়োগ করুন। এতে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার শঙ্কা কম থাকে।

আবু সাঈদ আহমেদ বলেন, ভালো ও খারাপ শেয়ার বলতে আমরা কী বুঝি? যখন একজন বিনিয়োগকারীকে আগে নির্বাচন করতে হবে যে, সে কোন শেয়ার বাছাই করতে যাচ্ছে। এখন তার মতো যদি অনেকেই চিন্তা করে তাহলে  সেসব শেয়ারের চাহিদা তৈরি হবে। দেখা গেল সে যে চারটি শেয়ার বাছাই করেছে তার মধ্যে তিনটি শেয়ার অন্যদের সঙ্গে মিলে গেছে। বিনিয়োগকারীদের দুটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, চাহিদা ও সরবরাহ এবং দ্বিতীয় হচ্ছে ধৈর্য। আর এ দুটোই বিনিয়োগকারীদের মধ্যে থাকতে হবে। একটি শেয়ারের যখন চাহিদা বেড়ে সরবরাহ কমে যাবে তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবে শেয়ারের দর বাড়তে থাকবে।  আপনি যখন শেয়ার নির্বাচন করবেন তখন তিনটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে। তা হচ্ছে, আপনি কত দামে কিনবেন, কী দামে বিক্রি করবেন এবং যদি দর কমে যায় তাহলে কোন পয়েন্টে স্টপ লস থিওরিতে যাবেন। আর একটি বড় বিষয় হচ্ছে, যখন আপনি জানবেন কোম্পানিটি ভালো হবে তখন প্রথমেই চিন্তা করবেন, শেয়ারটি এত দামে কিনেছি এবং একটি নির্দিষ্ট সময় পর এত দামে যাবে, তখন আপনার কাক্সিক্ষত দরে বিক্রি করে দেব।

 

শ্রুতি লিখন: রাহাতুল ইসলাম