ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প চালুসহ ৭ দাবি

নিজস্ব প্রতিবেদক:ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প পুনরায় চালুসহ ৭ দফা দাবি জানিয়ে মানববন্ধন করেছে ‘ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদ’। এ সময় তারা প্রকল্প বাস্তবায়নে নানা অনিয়মের কথা তুলে ধরেন। জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে এক মানববন্ধনে সংগ্রাম পরিষদের নেতারা এসব কথা বলেন।

নেতারা জানান, ২০০৪ সালের ডিসেম্বরে কার্যাদেশ দেয়ার পর পাঁচ বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার কথা। এর মধ্যে ১৫ হাজার ২৪টি ফ্ল্যাট নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছিল। কিন্তু প্রকল্প পরিচালক আব্দুর রহিমের ৮ বছরের আমলে মাত্র দুই হাজারের মতো ফ্ল্যাট নির্মাণ সমাপ্ত হয়েছে। ফ্ল্যাট বরাদ্দের জন্য আব্দুর রহিমের কাছে দুই লাখ থেকে ছয় লাখ ৫০ হাজার টাকা পরিশোধ করে এখনও ফ্ল্যাট বরাদ্দ পায়নি অনেকে। এছাড়া এ প্রকল্প ভূমি মন্ত্রণালয়ের হাতে ১২ বছর থাকলেও তাদের দ্বারা একটি ভবনও নির্মাণ হয়নি। উপরন্তু প্রায় ৩০০ লোককে ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়ার কথা বলে ওয়েটিং লিস্ট তৈরি করে জনপ্রতি ৮০ হাজার টাকা পর্যন্ত নেয়া হয়েছে।

প্রকল্প বন্ধের কারণ হিসেবে প্রকল্পের পিডিসহ মন্ত্রণালয়ের আমলাদের অযোগ্যতা ও হেয়ালিপনাকে দুষছেন তারা। বক্তরা বলেন, এসব কারণে ২৫ বছর ধরে নানারকম আশা দেখিয়ে প্রকল্পের কাজ স্থবির করে রাখা হয়েছে। এছাড়া পিডির প্রশ্রয়ে প্রকল্পের কর্মচারীদের দ্বারা ইউটিলিটি বিলের নামে কোটি টাকা আদায় করে নিয়েছে। কিন্তু কোনো প্রকার সেবা না দিয়েই সেই টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।

এ সময় তারা সরকারের কাছে সাত দফা দাবি জানান। সেগুলো হলো ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প পুনরায় চালু করে ফ্ল্যাট নির্মাণের মাধ্যমে বস্তিবাসী ও নি¤œবিত্তদের নামে অবিলম্বে বরাদ্দ দেয়া। বরাদ্দ দেয়া জায়গা থেকে প্রকল্পের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যের বাইরে অন্য কোনো সংস্থা, ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের নামে জমি বরাদ্দ বা প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করার অনুমতি দেয়া যাবে না।

এনএসপিডিএল আমলে পাইলিংসহ যেসব বিল্ডিং আংশিক নির্মাণ অবস্থায় আছে, সেগুলো ব্যতীত প্রকল্পের অন্য খালি জায়গায় বিশেষজ্ঞদের মতামত নিয়ে নতুন করে মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা। এতে এ ক্যাটেগরিতে প্রতিটি ফ্ল্যাট ২১৫-এর স্থলে ৩১৫ বর্গফুট ও বি ক্যাটেগরিতে প্রতিটি ফ্ল্যাট ৩৯৫-এর স্থলে ৪৯৫ বর্গফুট তৈরি করতে হবে। বরাদ্দ প্রাপ্তদের ফ্ল্যাটের অনুকূলে সর্বনি¤œ সুদে ব্যাংক লোন দেয়া ও দীর্ঘমেয়াদি কিস্তিতে পরিশোধের ব্যবস্থা করে বস্তিবাসী ও নিন্মবিত্তদের কষ্ট লাঘব করা।

‘দুর্নীতিবাজ আব্দুর রহিম কর্তৃক নির্যাতনের শিকার’ প্রতিটি পরিবারকে উপযুক্ত ক্ষতিপূরণ দেয়া। প্রকল্পের পিডির প্রশ্রয়ে অন্যান্য কর্মচারীদের দ্বারা সংঘটিত দুর্নীতির তথ্য দেয়া ও সামগ্রিক অন্যায়গুলো তদন্তের মাধ্যমে বিচারের ব্যবস্থা করা। প্রকল্পের প্রতিটি উন্নয়ন কাজে বস্তিবাসী ও নিন্মবিত্তদের প্রতিনিধি হিসেবে ভাষানটেক পুনর্বাসন প্রকল্প বাস্তবায়ন সংগ্রাম পরিষদকে সম্পৃক্ত রাখতে হবে।

মানববন্ধনে ভাষানটেক প্রকল্পের ভুক্তভোগী ও সাধারণ বস্তিবাসী অংশ নেন।

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০