রোহিঙ্গাদের জন্য বাংলাদেশ সরকার নির্মিত শরণার্থী শিবির ভাসানচরে গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের একটি বিশেষজ্ঞ মেডিকেল ক্যাম্প অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত তিন দিনব্যাপী এই ক্যাম্পের কার্যক্রম চলে। তিন দিনে মোট রোগী দেখা হয় এক হাজার ১১১ জন। আগত রোগীদের মাঝে মহিলা ও শিশু রোগীই বেশি। মেডিসিন, চক্ষু, গাইনি ও অবস, সার্জারি, চর্ম ও যৌন বিভাগের বিশেষজ্ঞরা রোগী দেখেন। রোগীদের বড় অংশই চর্মরোগে ভুগছেন। এছাড়া আগত গর্ভবতী মা ও শিশুর মাঝে অপুষ্টির লক্ষণ দেখা গেছে। প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও ওষুধের পাশাপাশি প্যাথলজি পরীক্ষা ও আল্ট্রাসনোগ্রাফি পরীক্ষা করার ব্যবস্থা ছিল। তিন দিনে প্যাথলজি সেবা দেয়া হয়েছে ৪০২ রোগীকে এবং আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়েছে ২৩৮ রোগীর।
১২ সদস্যবিশিষ্ট বিশেষজ্ঞ দলে ছিলেন গণস্বাস্থ্য সমাজভিত্তিক মেডিকেল কলেজের শিশু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. মেসবাহ উদ্দীন আহমেদ, সার্জারি বিভাগের কনসালটেন্ট ডা. রতনগীর কবির, চক্ষু বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. গৌর গোপাল সাহা, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ এটিএম আব্দুল হান্নান, চর্ম ও যৌন রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. ফাহমিদা হক, মেডিকেল অফিসার ডা. নিশাত তাসনিম, গাইনি অ্যান্ড অবসের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর ডা. ফারজানা বেগম, মেডিকেল অফিসার ডা. ফারজানা আক্তার এবং সাইকোসোশ্যাল কাউন্সিলর মাহমুদা রেবা। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ডা. মনজুর কাদির এই টিমকে নেতৃত্ব দেন। তিনি টিমের সার্বিক কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ কর্মপন্থা নির্ধারণ করার জন্য টিমের সঙ্গে তিন দিন ভাসানচরে অবস্থান করেন এবং সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার সঙ্গে আলোচনা করেন। তিনি বিশেষজ্ঞ টিম সঙ্গে নিয়ে সরকার পরিচালিত ২০ বেডের হাসপাতাল পরিদর্শন করেন এবং কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেন। গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এরই মধ্যে ২০ শয্যাবিশিষ্ট হাসপাতাল পরিচালনার জন্য সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করেছে বলে তিনি জানান। বিজ্ঞপ্তি