আবুল কাসেম হায়দার: দেশে ভিক্ষাবৃত্তি একটি বড় ব্যাধিতে পরিণত হয়েছে। বিশেষ করে রাজধানীতে প্রচুর ভিক্ষুকের দেখা মেলে। রাস্তার মোড়ে, যানজটের মাঝে এবং মসজিদের সামনে ভিক্ষুকের মেলা। কেউ নিছক অভাবে ভিক্ষা করে, কেউ পেশা হিসেবে ভিক্ষাকে গ্রহণ করে। অথচ আমাদের দেশ মুসলিমপ্রধান দেশ। হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিষ্টান সম্প্রদায় থাকলেও সব ভিক্ষুক মুসলিম। ধর্মকে ব্যবহার করে ভিক্ষা পেশাকে জমিয়ে তুলেছে। অথচ আল্লাহ ভিক্ষাকে খুবই অপছন্দ করেন।
অন্যদিকে প্রিয় নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) বারবার ভিক্ষাকে নিরুৎসাহিত করেছেন। ভিক্ষা না করে কাজ করতে বলেছেন।
বাংলাদেশে ভিক্ষুকদের নিয়ন্ত্রণ ও পরিচালনা করে একদল অসাধু অমানুষ দিনের পর দিন বাণিজ্য করে যাচ্ছে। তারা শারীরিক প্রতিবন্ধী ও শিশুদের হাতিয়ার হিসেবে ভিক্ষার কাজে ব্যবহার করে কোটি কোটি টাকা উপার্জন করছে, যা পত্র-পত্রিকা ও টেলিভিশন প্রচারিত হয়েছে। তারা সুস্থ মানুষকে কৃত্রিমভাবে প্রতিবন্ধী বানিয়ে অর্থ উপার্জনের একটি ঘৃণ্য উপায় বের করেছে। কোনো এক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু রাজধানীতে প্রতিদিন ভিক্ষুকদের আয় ২০ কোটি টাকা, অর্থাৎ মাসে ৬০০ কোটি টাকা। সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরের এক পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বাংলাদেশে মোট ভিক্ষুকের সংখ্যা সাড়ে চার লাখের বেশি। শুধু ঢাকা শহরে ভিক্ষুকের সংখ্যা ৬০ হাজার। অবাক কাণ্ড হচ্ছে, গ্রামে ভিক্ষুকদের দেখা মেলে না। গ্রামে সামাজিক ও পারিবারিক পরিচয় সহজে মেলে বলে পেশাদার ও নকল ভিক্ষুক গ্রামে সুবিধা করতে না পারায় শহরে এসে ভিড় করছে।
ভিক্ষাবৃত্তি দূর করার উদ্যোগ: ভিক্ষাবৃত্তির মতো সামাজিক ব্যাধিটি দূর করার জন্য ২০০৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক সংগ্রামী (ভিক্ষুক) সদস্য ঋণ কার্যক্রম চালু করে। বিনা সুদে এই ঋণ দেয়া হয়। ভিক্ষার পাশাপাশি ছোটখাটো ব্যবসা করে তারা এই ঋণের কিস্তি পরিশোধ করবে। গ্রামীণ ব্যাংক ৮৩ হাজার ৩৬৩ ভিক্ষুককে এই কর্মসূচির অন্তর্ভুক্ত করতে সক্ষম হয়েছে। এই ভিক্ষুকদের কাছে মোট বিতরণকৃত অর্থের পরিমাণ ১৮ কোটি ৬৩ লাখ টাকা। ভিক্ষুক সদস্যরা এ পর্যন্ত ১৬ কোটি পাঁচ লাখ টাকা ঋণ পরিশোধ করতে সক্ষম হয়েছে। তাদের প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, এ পর্যন্ত ৪১ হাজার ৩৮৩ ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি ত্যাগ করেছে। কাজটি খুবই উত্তম উদ্যোগ। এই প্রকল্পের উদ্দেশ্যে ছিল দেশের গ্রাম, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলাকে ভিক্ষুকমুক্ত করা।
গ্রামীণ ব্যাংকের উদ্যোগ: কিছুদিন আগে গ্রামীণ ব্যাংকের জোনাল ম্যানেজার ক্ষুদিরাম পাল বলেছেন, গ্রামীণ ব্যাংক ভিক্ষুক সমস্যা সমাধান করার জন্য নানা উদ্যোগ নিয়েছে। কিন্তু বর্তমানে ভিক্ষুক পাওয়া যাচ্ছে না। তাহলে ভিক্ষুক কোথায় গেল? গ্রামে ভিক্ষুক না পাওয়ায় সংগ্রামী সদস্য কর্মসূচি বাস্তবায়নে সমস্যা হচ্ছে। গ্রামীণ ব্যাংক ভিক্ষুকদের নানা সহযোগিতা করে। শীতে গরম কাপড় দেয়। কভিড মহামারিকালে তাদের খাদ্য সহায়তা দেয়া হয়। বিশেষ করে ভিক্ষুকদের স্বাবলম্বী করে তোলার জন্য নিবিড় সহযোগিতা করছে। ফলে অনেক ভিক্ষুক ভিক্ষাবৃত্তি ছেড়ে দিয়েছে। গ্রামীণ ব্যাংক সফল হয়েছে।
সরকারের উদ্যোগ: দেশে সামাজিক ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে। আমরা এখন মধ্যম আয়ের দেশে পৌঁছে গিয়েছি। মাথাপিছু আয় এখন দুই হাজার ৫০০ মার্কিন ডলারের বেশি। কাজেই এখন ভিক্ষাবৃত্তির মতো লজ্জাজনক কাজ থেকে আমাদের জাতিকে মুক্ত করতে হবে। দেশে দারিদ্র্য বিমোচনে সরকারের অঙ্গীকার বাস্তবায়ন এবং ভিক্ষাবৃত্তির মতো লজ্জাজনক কাজ থেকে মানুষকে নিবৃত্ত করার উদ্দেশ্যে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনবার্সন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য সরকারের রাজস্ব খাতের অর্থায়নে সমাজ কল্যাণ মন্ত্রণালয় ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান শীর্ষক কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এটি একটি খুবই ভালো উদ্যোগ। ২০১০ সালের আগস্ট থেকে এ কর্মসূচি চলছে। কিন্তু ১১ বছরে কর্মসূচি অনুযায়ী কার্যক্রম তেমন অগ্রগতি লাভ করতে পারেনি। সরকারপ্রধান ভিক্ষাবৃত্তি নির্মূলের ব্যাপারে বেশ আন্তরিক। কিন্তু আমলাদের দক্ষতা ও স্বচ্ছতার অভাবে কাজটি চলছে ধীরগতিতে। এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে সরকার
২০১৭-১৮ অর্থবছরে প্রথমবারের মতো দেশের ৫৮টি জেলায় ভিক্ষুক পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থানের জন্য অর্থ পাঠায়।
২০২০-২১ অর্থবছরে ঢাকা শহরকে ভিক্ষুকমুক্ত করতে ১৮টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। আদালত ১৮০ ভিক্ষুককে আটক করেন। তাদের ৭২ জনকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে রেখে বিভিন্ন মেয়াদে প্রশিক্ষণ প্রদান ও পুনর্বাসন করা হয়। বাকি ১০৮ জনকেও পুনবার্সন করা হয়। সরকার দীর্ঘ মেয়াদে কার্যকরভাবে ভিক্ষুক নির্মূল করার জন্য পুনর্বাসনের কাজটি পদ্ধতিগতভাবে করার জন্য একটি নীতিমালা প্রণয়ন করেছে। এটি বেশ ভালো উদ্যোগ।
কেন ভিক্ষুক সমস্যার সমাধান প্রয়োজন: দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। আমাদের উন্নয়ন নানা দিকে যাচ্ছে। উৎপাদন বৃদ্ধি পাচ্ছে। রপ্তানি বাড়ছে। মানুষের আয় বাড়ছে। দিন দিন মানুষ ধনী হচ্ছে। আমরা বিশ্বের দরবারে ১০ লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় দিয়ে বিশেষ নজির স্থাপন করেছি। আমরা মানবতার উজ্বল নমুনা স্থাপন করতে পেরেছি। কেন সামান্য কয়েক লাখ ভিক্ষুককে পুনর্বাসন করে দেশকে ভিক্ষুকের কলঙ্ক থেকে মুক্ত করতে পারব না! আমাদের পারতে হবে। এরই সরকার দেশের গ্রামে গ্রামে ভূমিহীনদের আশ্রয়কেন্দ্র তথা বাড়ি তৈরি করে বিশেষ নজির স্থাপন করতে সক্ষম হয়েছে। এর চেয়ে ভিক্ষুক সমস্যা অনেক ছোট ব্যাপার।
দেশের ভাবমূর্তি বৃদ্ধির স্বার্থে দেশ থেকে ভিক্ষাবৃত্তি সমূলে দূর করতে হবে। সমাজ কল্যাণ অধিদপ্তরকে এই বিষয়ে আরও কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। রাস্তায় রাস্তায় ও মসজিদের সমানে অগণিত ভিক্ষুক দেখে বলা যাবে না আমাদের উন্নতি হয়েছে। মনে হচ্ছে, আমরা দিন দিন গরিব হচ্ছি। এই ক্ষতচিহ্ন আমাদের মুছে ফেলতে হবে। আল্লাহ প্রদত্ত ক্ষমতা দিয়ে কোরআন-হাদিসের নির্দেশ মেনে সবাইকে ভিক্ষাবৃত্তির অভিশাপ থেকে জাতিকে মুক্ত করার জন্য এগিয়ে আসতে হবে।
জাকাত ভিক্ষাবৃত্তি নিরোধে উত্তম উপায়: পবিত্র কোরআন পাকে আল্লাহ জাকাত ও নামাজ প্রতিষ্ঠার জন্য বারবার তাগিদ দিয়েছেন। তিনি গরিবদের অধিকার রক্ষার কথা বলেছেন। প্রতিবেশীদের হক আদায় না করলে ঈমানদার হওয়া যাবে না বলে উল্লেখ করেছেন। পবিত্র কোরআনের সুরা বাকারার ১১০নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, ‘তোমরা সালাত কায়েম করো এবং জাকাত আদায় করো। তোমরা উত্তম কাজের যা কিছু আগে পাঠাবে, আল্লাহর কাছে তা পাবে। তোমরা যা কর নিশ্চয়ই আল্লাহ তার দ্রষ্টা।’
অন্যত্র আল্লাহ জাকাত প্রদানকে রহম বলেছেন। তিনি বলেছেন, ‘মুমিন পুরুষ ও মুমিন মহিলা একে অপরের বন্ধু। তারা সৎ কাজের আদেশ দেয়, অসৎ কাজ নিষেধ করে, নামাজ কায়েম করে, জাকাত দেয় এবং আল্লাহ ও তার রসুলের আনুগত্য করে। তাদের ওপর আল্লাহ রহম করবেন। নিশ্চয় আল্লাহ পরাক্রমশালী ও প্রজ্ঞাময়’ (সুরা-তওবা, ৯:৭১)। জাকাত প্রদানকে আল্লাহ পাক অতি গুরুত্ব প্রদান করেছেন। পবিত্র কোরআন পাকে সুরা তওবায় জাকাত প্রদানের খাতগুলো উল্লেখ করে একে বিধান বলে আখ্যায়িত করেছেন এবং জাকাত প্রদানের আটটি খাতের কথা খোলাখুলি বলে দিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, সাদাকা তো কেবল ফকির ও মিসকিনদের জন্য এবং সাদাকা-সংক্রান্ত কাজে নিযুক্ত লোকদের জন্য, দাসত্বমুক্তির জন্য, ঋণগ্রস্তদের জন্য, আল্লাহর পথে ও মুসাফিদের জন্য। এটা আল্লাহর বিধান। আল্লাহ সর্বোত্তম ও প্রজ্ঞাময়। (সুরা তাওবা ৯:৬০)
কাজেই জাকাত আদায় করা সামষ্টিক কাজ। মুসলমানদের জন্য অবশ্যই করণীয়। রাষ্ট্রীয়ভাবে এই জাকাত আদায় করে উল্লিখিত পাঁচটি খাতে বণ্টন করতে হবে। কিন্তু সারাবিশ্বে মুসলমান রাষ্ট্রগুলোয় রাষ্ট্রীয়ভাবে জাকাত আদায় করা হচ্ছে না।
আমরা ইতিহাসে দেখতে পাচ্ছি, যখন জাকাত রাষ্ট্রীয়ভাবে আদায় করা হয়, তখন মুসলিম রাষ্ট্রে ভিক্ষুক ছিল না। খলিফা ওমর ইবনে আবদুল আজিজের সময় রাষ্ট্রে জাকাত দেয়ার মতো লোক খুঁজে পাওয়া যায়নি। আজ আমাদের দেশে জাকাত প্রদানকারী প্রচুর। গ্রহণকারীও প্রচুর। কিন্তু রাষ্ট্রীয়ভাবে আদায় হচ্ছে না বলে জাকাত সবাই নিয়মমাফিক প্রদান করে না। সরকার ইসলামি ফাউন্ডেশন কর্তৃক জাকাত সংগ্রহের ব্যবস্থা করছে। তাও সীমিত, সামান্য আদায় হয়। দেশে জাকাত আদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে বাধ্যতামূলক নয়। যদিও আমাদের দেশে সরকার জাকাত আদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে করে এবং আইন করে বাধ্য করে, তবে তা দিয়ে দেশের দরিদ্র মানুষের সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। দেশে কোনো ভিক্ষুক থাকবে না। দরিদ্র ও অভাবী মানুষ থাকবে না। দেশ সুন্দর হবে। পরিবেশ সুন্দর। মানুষের জীবনের চলার পথ মার্জিত হবে। মানুষ সুখে জীবন কাটাতে পারবে। অন্যদিকে আল্লাহ পাকের নির্দেশ পালনের কারণে পরকালে আমরা সকলে নাজাত পাব। কঠিন শাস্তি থেকে আল্লাহ পাক আমাদের মুক্তি দেবেন।
ভিক্ষাবৃত্তির মতো অপমানজনক পেশা থেকে মানুষের মুক্তির জন্য জাকাত আদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে করা ছাড়া অন্য কোনো বিকল্প পথ বড়ই কঠিন, ব্যয়বহুল ও সময়ক্ষেপণ ছাড়া আর কিছু নয়।
মহানবী (সা.)-এর উদ্যোগ: জাকাত আদায়-সংক্রান্ত যাবতীয় কাজ নবী করিম (সা.) বিধান আকারে জারি করেছেন এবং জাকাত বণ্টনের প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা গড়ে তুলেছেন। বুখারি ও মুসলিম শরিফে উদ্ধৃত হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত এক হাদিস থেকে জানা যায়, জিসান ইবন সালাবা (রাঃ) নবী করিম (সা.)-কে বললেন, আপনার প্রতিনিধি বলেছেন, আমাদের সম্পদের জাকাত দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (সা.) বললেন, সে সত্য বলেছে। তখন ওই ব্যক্তি বললেন, যে আল্লাহ আপনাকে রাসুল হিসেবে প্রেরণ করেছেন, তাঁর শপথ দিয়ে বলছি, আল্লাহ কি আপনাকে এ নির্দেশ দিয়েছেন? নবী করিম (সা.) বললেন, হ্যাঁ।
বুখারি ও মুসলিম শরিফে উদ্ধৃত অন্য এক হাদিসে উল্লেখ রয়েছে, ‘হজরত মুআয ইবন জাবাল (রা.)-কে ইয়ামানে পাঠানোর সময় নবী করিম (সাঃ) তাঁকে বললেন, তুমি আহলে কিতাবদের এক সম্প্রদায়ের কাছে যাচ্ছ। তুমি তাদের ‘লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহু মুহাম্মাদুর রাসুলুলুল্লাহ’ এ সাক্ষ্য দানের জন্য দাওয়াত দেবে। তারা যদি তা মেনে নেয়, তাহলে তাদের জানাবে, আল্লাহ তাদের ওপর দিন-রাতে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ ফরজ করেছেন। জদি তারা তা মেনে নেয় তাহলে তাদের জানাবে আল্লাহর ওপর জাকাত ফরজ করেছেন, যা তাদের ধনীদের কাছ থেকে গ্রহণ করা হবে এবং তাদের গরিবদের মধ্যে বণ্টন করা হবে। তারা এ কথা মেনে নিলে তাদের ধন-মালের উত্তম অংশ গ্রহণ করা থেকে তুমি সতর্কতা অবলম্বন করবে। আর মাখলুকের ফরিয়াদকে অবশ্যই ভয় করবে। কেননা তার ও আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই।
জাকাত রাষ্ট্রীয় আদায় করা ও ব্যয়-বণ্টন করা আমাদের জন্য ফরজ। অবশ্য করণীয়। কিন্তু আমরা তা করছি না। তাই আমরা অন্যায় করছি। পাপ করছি। এজন্য পরকালে অবশ্যই কঠিন শাস্তির মুখোমুখি হতে হবে। আল্লাহ পাক আমাদের ক্ষমা করুন। তাই জাকাত আদায় ও বণ্টনের জন্য আল্লাহ প্রদত্ত বিধান অনুযায়ী নিয়মিত চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে।
ভিক্ষাবৃত্তি নিরোধের জন্য সরকারি সব উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে। পৃথিবীর উন্নত দেশগুলোয কোনো ভিক্ষুক নেই। ভিক্ষা দেয়ার মতো কোনো লোক পাওয়া যায় না। আমাদের মতো অনুন্নত দেশে গরিব ও অভাবী লোকের সংখ্যা বেশি। অন্যদিকে শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মধ্যে ভিক্ষুক বেশি দেখা যায়, অথচ মুসলিমদের মধ্যে কোনো ভিক্ষুক থাকার কথা নয়। কেন আমরা ভিক্ষা করছি? কেউ করছে একান্ত অভাবে। আর অসৎ ব্যক্তিরা এটিকে পেশা হিসেবে নিয়ে ব্যবসা করছে। সরকারকে কঠোর হস্তে এসব দমন করতে হবে। সরকার উদ্যোগ নিয়েছে। এই উদ্যোগের সঙ্গে জাকাত আদায় রাষ্ট্রীয়ভাবে বাধ্য করে আইন করলে দেশে দরিদ্র মানুষ আর থাকবে না। এমন একদিন আসবে জাকাত নেয়ার মতো কোনো মানুষ দেশে পাওয়া যাবে না।
প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, ইস্টার্ন ইউনিভার্সিটি আইএফআইএল, অস্ট্রেলিয়ান ইন্টারন্যাশনাল স্কুল ও আবুল কাসেম হায়দার মহিলা কলেজ সন্দ্বীপ, চট্টগ্রাম
akhaider@youthgroupbd.com