Print Date & Time : 19 June 2025 Thursday 7:15 pm

ভিজিডির উপকারভোগীর সংখ্যা সাড়ে ১১ লাখ করেছে সরকার

নিজস্ব প্রতিবেদক: বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ভালনারেবল গ্রুপ ডেভেলপমেন্ট (ভিজিডি) উপকারভোগীর সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার জন বাড়িয়ে ১১ লাখ ৫০ হাজার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা। একই সঙ্গে ভিজিডির নাম ২০২৩ সাল থেকে ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রামে (ভিডব্লিইউবিপি) রূপান্তর করা হবে বলে জানান তিনি।

গতকাল রাজধানীর ইস্কাটনে মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের সম্মেলন কক্ষে ভিজিডি কর্মসূচির কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় সভাপতির বক্তব্যে এ তথ্য জানান তিনি।

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন খাদ্য সচিব মোছাম্মত নাজমানারা খানুম, মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ফরিদা পারভীন, অতিরিক্ত সচিব ড. মহিউদ্দীন আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব ডা. আ. এ. মো. মহিউদ্দীন ওসমানী।

সভায় প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকার ভিজিডির উপকারভোগীর সংখ্যা বাড়িয়েছে। বর্তমানে দেশে ভিজিডি উপকারভোগী নারীর সংখ্যা ১০ লাখ ৪০ হাজার। গ্রামীণ এলাকায় দুস্থ নারীদের জীবনমানের টেকসই উন্নয়নে এ সংখ্যা এক লাখ ১০ হাজার বাড়িয়ে ২০২৩-২৪ মেয়াদে মোট উপকারভোগীর সংখ্যা হবে ১১ লাখ ৫০ হাজার। গত ১০ এপ্রিল সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি-সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির সভায় উপকারভোগী বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়। জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশলের (এনএসএসএস) নির্দেশনা মোতাবেক পরিবর্তন করা হচ্ছে ভিজিডির নাম। আগামী ২০২৩ সাল থেকে ভিজিডি ভালনারেবল উইমেন বেনিফিট প্রোগ্রাম (ভিডব্লিইউবিপি) নামে রূপান্তরিত হবে। এ বছর বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর হালনাগাদকৃত উপজেলার পোভার্টি ম্যাপ অনুযায়ী উপজেলাভিত্তিক উপকারভোগী নির্বাচন করা হবে।

মহিলা ও শিশু বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বলেন, ভিজিডি কর্মসূচি মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আওতায় বাংলাদেশের গ্রামীণ দুস্থ নারীদের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি বৃহত্তর সামাজিক নিরাপত্তামূলক কর্মসূচি। এ কর্মসূচি দুস্থ ও অর্থনৈতিকভাবে অসচ্ছল নারীদের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করে তাদের দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জীবনমানের উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, যা নারীদের খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা, পুষ্টিহীনতা ও অর্থনৈতিক নিরাপত্তাহীনতা দূর করে আর্থিক সচ্ছলতা নিশ্চিত করছে।

প্রতিমন্ত্রী ইন্দিরা এ সময় উপজেলাভিত্তিক দারিদ্র্যকবলিত এলাকা সঠিকভাবে বিবেচনা করে স্বচ্ছতার সঙ্গে প্রকৃত উপকারভোগী নির্বাচন করার নির্দেশ দেন। সভায় পুষ্টি চাল বিতরণ, উপকারীভোগীদের সঞ্চয় ও এনজিওর সার্ভিস চার্জের বিষয়ে আলোচনা হয়।

সভায় অর্থ বিভাগ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ এবং বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন।