ভিটামিন ‘ডি’ পেতে করুন রৌদ্রস্নান

গতকালের পর

সূর্যস্নান করুন সরাসরি: ভিটামিন ‘ডি’ কাচ ভেদ করে দেহে প্রবেশ করতে পারে না। ফলে কেউ যদি আয়েশ করে ঘরের ভেতর বসে কাচের জানালার ফাঁক গলে নেমে আসা সূর্যরশ্মিতে স্নান সারতে চান, তারা বঞ্চিত হবেন এই ভিটামিন প্রাপ্তি থেকে। আবার সূর্যস্নানের জন্য সমুদ্রসৈকতে আরামকেদারায় শুতে হবে, এমনটিরও দরকার নেই। দরকার শুধু পর্যাপ্ত সূর্যালোক সরাসরি দেহে লাগানোর ব্যবস্থা করা। তবে পাহাড়ের চূড়ায় ভিটামিন ‘ডি’ বেশি থাকে বলে জানা গেছে।

গ্রীষ্মের রোদ বেশি ভালো: গ্রীষ্মের রোদ যতটা ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি করে, শীতের রোদ ততটা পারে না। সেজন্য গ্রীষ্মের রোদে ১৫ মিনিট থেকে ঘণ্টা দুয়েক হিসাবে সপ্তাহে দুদিন দেহে রোদ লাগালে যথেষ্ট পরিমাণে ভিটামিন ‘ডি’ মিলবে। যারা ভিটামিন ‘ডি’ নিয়ে গবেষণা করেন, তারা বলেন, রোদে যেতে হবে সকাল ১০টা থেকে ৩টার মধ্যে। তবে ঠিক কত সময় এই ত্বকের কারখানায় ভিটামিন তৈরি হবে, তা নির্ভর করে বেশ কিছু ফ্যাক্টর বা নিয়ামকের ওপর। যেমন ব্যক্তির অবস্থান, ঋতুভেদ, দিনের কোন অংশের আলো, আকাশের অবস্থা (মেঘাচ্ছন্ন, কুয়াশা), বায়ুদূষণ, চামড়ার তারতম্যসহ অনেক কিছুর ওপর।

তির্যক আলোয় নয়: বিষুবরেখা থেকে যত দূরে যাওয়া যাবে, সূর্যের আলো কিন্তু তত তির্যকভাবে পড়তে থাকবে দেহে। আর তির্যকভাবে আলো পড়লে অতিবেগুনি রশ্মি-বি দেহে লাগবে কম পরিমাণে। অর্থাৎ ভিটামিন-ডি তৈরি হবে কম। গ্রীষ্মে পৃথিবীর আবর্তনের ফলে বিষুবরেখা থেকে দূরবর্তী অঞ্চলে সূর্য অনেকটা খাড়াভাবে পতিত হয়। ফলে শীতকালের তুলনায় তখন সেখানে দেহে ভিটামিন ‘ডি’ তৈরি হয় প্রচুর পরিমাণে।

দেহ খোলা রেখে সূর্যস্নান করুন: খুব অল্প সময়ে মানুষের ত্বকে তৈরি হতে পারে ১০ হাজার থেকে ২৫ হাজার আইইউ (ভিটামিন ‘ডি’ পরিমাপের একক) ভিটামিন ‘ডি’। এজন্য প্রতিদিন সূর্যের আলো গায়ে লাগানো যেতে পারে। তবে আলোয় যাতে শরীর পুড়ে না যায়, সে ব্যবস্থাও করতে হবে। সাধারণত সূর্যের আলোয় ত্বক বা চামড়া পুড়তে যত সময় লাগে, তার অর্ধেক সময়েই তৈরি হয় ভিটামিন ‘ডি’। তাই রোদচশমা ও সুতির জামা-কাপড় পরলেও ক্ষতি নেই। হাত, পা ও মুখ খোলা থাকলেই চলবে। এতে যতটুকু আলোর পরশ মাখবে, তাতেই উৎপন্ন হবে প্রয়োজনীয় ভিটামিন ‘ডি’। [ক্রমশ]

লে. কর্নেল ডা. নাসির উদ্দিন আহমদ

মেডিসিন ও হরমোন বিশেষজ্ঞ

সিএমএইচ, ঢাকা

 

আর্কাইভ

রবি সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি
১০১১১২১৩১৪
১৫১৬১৭১৮১৯২০২১
২২২৩২৪২৫২৬২৭২৮
২৯৩০