শেয়ার বিজ ডেস্ক : ইরানের সম্পদ আটক করার বিষয়ে মার্কিন সরকারের অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে লুক্সেমবার্গের একটি আদালত যে রায় দিয়েছেন তাকে স্বাগত জানিয়েছে তেহরান। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বাহরাম কাসেমি বলেছেন, বানোয়াট ও মিথ্যা কথা বলে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানি জনগণের সম্পদ ডাকাতি করতে পারে না। খবর পার্স টুডে।
কাসেমি বলেছেন, বিশ্বে এখনও কিছু আদালত আছে যারা স্বাধীন দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করেন। মার্কিন একচেটিয়া আধিপত্যের দিন শেষ। তারা এখন আর এ ধরনের ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সুবিধা করতে পারবে না বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
ইরানের ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ৯/১১ হামলায় নিহতদের পরিবারদের ক্ষতিপূরণ হিসেবে দেওয়ার জন্য যুক্তরাষ্ট্র অনুরোধ করেছিল। তবে লুক্সেমবার্গের আদালত তা প্রত্যাখ্যান করেন। ২০১২ সালে দেশটির একটি আদালত ২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বরের সন্ত্রাসী হামলায় ইরানের হাত ছিল বলে রায় দেন।
ওই হামলায় হতাহতদের ক্ষতিপূরণ বাবদ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অবস্থানরত ইরানের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে ৭০০ কোটি ডলার অধিগ্রহণ করারও নির্দেশ দেন মার্কিন আদালত। কিন্তু ইরানের অর্থ নেওয়ার সুযোগ না থাকায় মার্কিন আদালতের ওই রায় এতদিন কার্যকর করা যায়নি।
সম্প্রতি ওয়াশিংটন এ তথ্য জানতে পারে, ইরানের ওপর আরোপিত মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কারণে লুক্সেমবার্গের ‘ক্লিয়ারস্ট্রিম’ কোম্পানির কাছে ইরানের ১৬০ কোটি ডলারের সম্পদ আটকা পড়ে রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে মার্কিন সরকার লুক্সেমবার্গকে ওই সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার অনুরোধ করলে দেশটির সরকার এ বিষয়ে কর্তব্য নির্ধারণের জন্য আদালতের শরণাপন্ন হয়।
ইরানের সঙ্গে ছয় জাতির পরমাণু চুক্তি থেকে সরে গিয়ে গত বছর ফের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ফলে ইরানের অর্থনীতি বেশ খারাপ সময় পার করছে।
ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে যুক্তরাষ্ট্র সুবিধা করতে পারবে না: ইরান
