আসিয়ানভুক্ত দেশ ভিয়েতনাম। এ জোটের দেশগুলোর এসএমই খাতের বিশেষ ঝোঁক রয়েছে। আসিয়ান ব্লকে এ খাতের উন্নয়নে সরকারি পৃষ্ঠপোষকতা রয়েছে। সরকারি প্রণোদনা, উৎসাহ, কর্মপন্থা প্রভৃতি এসএমই শিল্পের বিকাশে সহায়তা করে।
# জনশ্রুতি রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে ক্ষুদ্র ব্যবসার যেমন ভূমিকা, ভিয়েতনামের অর্থনীতিতে এসএমই খাতেরও একই ভূমিকা
# ক্ষুদ্রতম, ক্ষুদ্র ও মাঝারি এ তিন পর্যায়ে বিভক্ত ভিয়েতনামের এসএমই খাত। মূলত মূলধনের ওপর ভিত্তি করে এ তিন ভাগে বিভক্ত করা হয়েছে
# ক্ষুদ্রতম পর্যায়ে কৃষি, নির্মাণ ও ব্যবসা-বাণিজ্যে শ্রমিকের সংখ্যা ১০ কিংবা তারও কম
# ক্ষুদ্র পর্যায়ে শ্রমিকের সংখ্যা ১০ থেকে ২০০। এ পর্যায়ে মূলধন সর্বোচ্চ ২০ বিলিয়ন ভিয়েতনামি ডং
# মাঝারি পর্যায়ে ২০০ থেকে ৩০০ জন। ব্যবসায় মূলধনের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন থেকে সর্বোচ্চ ১০০ ভিয়েতনামি ডং
# ভিয়েতনামে এসএমইর নানা খাতে প্রায় চার লাখ প্রতিষ্ঠান রয়েছে
# দেশটির ৫০ শতাংশ কর্মসংস্থান হয়েছে এ খাতে
# মোট দেশজ উৎপাদনের ৪০ শতাংশ আসে এসএমই খাত থেকে
# এসএমই খাতের উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই), বিশ্বব্যাংক, এডিবি, জার্মানি ও ডেনমার্ক সহায়তা করে
# দেশটির ব্যবসা-বাণিজ্যে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে নিজটিফুড নিউট্রিশন অ্যান্ড ডেইরি, টিএইচপি বেভারেজ, ইয়েন ভিয়েত, মাসানফুড নামের এসএমইনির্ভর অনেক প্রতিষ্ঠান
# এসএমই ডেভেলপমেন্ট কাউন্সিলের পরামর্শে দেশটির প্রধানমন্ত্রী এ খাতের উন্নয়নে সিদ্ধান্ত নেন। প্রাদেশিক পর্যায়ে ডিপার্টমেন্ট অব প্ল্যানিং অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সরকারের পরিকল্পনা বাস্তবায়নের নানা কর্মসূচি হাতে নেয়
# কিছু নেতিবাচক পরিস্থিতি বিরাজ করছে ভিয়েতনামের এসএমই খাতে। যেমন বলা হয়, স্থানীয় কিংবা বিদেশি কোনো ব্যাংক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের উন্নয়নে তেমন কিছু করছে না। ব্যবসায়ীরা পরিবার, বন্ধ-ুবান্ধব অথবা পরিচিত মানুষের কাছ থেকে অর্থ নিয়ে ব্যবসা চালান।
তথ্যসূত্র: রিসার্চগেট