প্রতিনিধি, চবি : প্রশাসনিক অনিয়ম, শিক্ষক নিয়োগে আর্থিক লেনদেন ও স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) উপাচার্য ও উপ-উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের অংশ হিসেবে গণসংযোগ কর্মসূচিতে নেমেছে চবি শিক্ষক সমিতি।
গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটা থেকে শুরু হয় উপাচার্য পদত্যাগের গণসংযোগ কর্মসূচি। এদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান, ব্যবসায় প্রশাসন এবং ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদভুক্ত বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকগণের মাঝে গণসংযোগ চালানো হয়। দুদিনব্যাপী চলমান গণসংযোগ কর্মসূচি শেষ হবে আগামীকাল।
শিক্ষক সমিতির দাবি, উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতার ও উপ-উপাচার্য অধ্যাপক বেনু কুমার দে’র পদত্যাগের দাবিতে ধারাবাহিক আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে অনুষদ-ভিত্তিক গণসংযোগ কর্মসূচি হাতে নেয়া হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ও আইনের শাসন পুনরুদ্ধারের জন্য শিক্ষক সমিতি গণসংযোগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আব্দুল হক।
তিনি বলেন, উপাচার্যের বিভিন্ন অপকর্ম ও অনিয়মের কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে। আমাদের আন্দোলনে শিক্ষক সমাজের সমর্থন আছে। আমাদের শিক্ষকরা বিভিন্ন গবেষণা ও একাডেমিক কার্যক্রমে অধিকাংশ সময় ব্যস্ত থাকে। তাই আন্দোলনের যৌক্তিকতা তুলে ধরতে এবং এতে সাধারণ শিক্ষকদের সম্পৃক্ততা বৃদ্ধিতে আমাদের গণসংযোগ কর্মসূচি চলমান থাকবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা অনুষদ-ভিত্তিক এই কর্মসূচি চালিয়ে যাব। আগামীকালও চলবে গণসংযোগ। ভিসি পদত্যাগে বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করাই গণসংযোগ কর্মসূচির মূল লক্ষ্য।
