নিজস্ব প্রতিবেদক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) ভিসি ও প্রোভিসির দ্বন্দ্ব চরমে উঠেছে। নার্স নিয়োগে আর্থিক অনিয়মের কারণেই মূলত এ দ্বন্দ্ব। ক্যাম্পাসে দুই পক্ষের একাধিকবার মহড়াসহ বাগ্বিতণ্ডার ঘটনা ঘটছে অহরহ। অবশেষে গতকাল শনিবার ঘটনা তদন্তে একটি সাত সদস্যের কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটি। এ কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত ১৮ জানুয়ারি বিএসএমএমইউ’র এক অনির্ধারিত সভা শেষে ভিসি অধ্যাপক ডা. কামরুল হাসান খানের বিরুদ্ধে শারীরিকভাবে হেনস্তা করার অভিযোগ আনেন প্রোভিসি অধ্যাপক ডা. জাকারিয়া স্বপন। তবে ভিসি বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছেন।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১ জানুয়ারি সাড়ে ১০টা থেকে পৌনে ১১টা পর্যন্ত ভিসির সমর্থক বলে পরিচিত বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর অধ্যাপক ডা. হাবিবুর রহমান দুলাল ও প্রোভিসি ডা. এএসএম জাকারিয়া স্বপনের সমর্থক চিকিৎসকরা ক্যাম্পাসে মহড়া দেন। পরে বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ আল হারুনের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। অভিযোগ রয়েছে, উভয় পক্ষের শোডাউনে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বহিরাগত উপস্থিত ছিল। এ সময় দুই দফায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি ও বাগ্বিতণ্ডার সৃষ্টি হয়।
এদিকে গতকাল বেলা ১১টার দিকে শুরু হওয়া এ বিশেষ সভা বেলা পৌনে ২টার দিকে শেষ হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক কামরুল হাসান খান তার কক্ষে বলেন, ‘নার্স নিয়োগসহ যত ধরনের অনিয়মের অভিযোগ এসেছে সেসব বিষয় নিয়ে আজকের সভায় আলোচনা করা হয়েছে। সিন্ডিকেট কমিটির সদস্য সংসদ সদস্য রুস্তম আলী ফরাজীকে প্রধান করে একটি সাত সদস্যের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে সভায়। এ তদন্ত কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।’
অন্যদিকে সভায় জরুরি ভিত্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ৭০০ নার্স নিয়োগ করার জন্যও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সে হিসেবে প্রাথমিকভাবে অতি দ্রুত ২০০ জন নার্স অ্যাডহক ভিত্তিতে এবং পরবর্তী সময়ে আরও ৫০০ নার্স নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন ভিসি কামরুল হাসান খান।
Add Comment