প্রতিনিধি,সিরাজগঞ্জ : সিরাজগঞ্জের তাড়াশে ভুট্টা ক্ষেত থেকে সদ্য জন্ম নেওয়া জীবিত এক কন্যা সন্তানকে উদ্ধার করেছে লাবনী বেগম নামের এক গৃহবধূ। এমন ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
মঙ্গলবার রাতে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মনোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এরআগে, আজ সকালে তাড়াশ উপজেলার মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের চর-হাকুড়িয়া গ্রামে ভুট্টার ক্ষেত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় এই নবজাতকে উদ্ধার করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, চর-হামকুড়িয়া গ্রামের সদ্য জন্ম নেওয়া জীবিত এক কন্যা সন্তানকে কে- বা কারা ফেলে রেখে গিয়েছে। খবর পেয়ে শিশুটিকে উদ্ধার করেন একই গ্রামের বাসিন্দা লাবনী বেগম। পরে শিশুটিকে তাড়াশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে তিনি। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এই খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে অনেকেই শিশুটিকে দত্তক নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন। শিশুটির দায়িত্ব নিতে হাসপাতালে ভিড় করছেন অনেকেই। বর্তমানে নবজাতকটি সুস্থ্য রয়েছেন।
লাবনী বেগম বলেন, সকাল আমার ছোট ছেলেকে নিয়ে ধান ক্ষেতে যাওয়ার সময় ভুট্টা ক্ষেতের ভিতর থেকে কান্না শব্দ শুনতে পায়। পরে গিয়ে দেখি একটি সন্তান কান্না করছে। আমি বাচ্চাটি উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। এখন পর্যন্ত শিশুটির নাম রাখা হয়নি। তবে দত্তক নিতে অনেকেই আসছে। আমার দুই ছেলে এক মেয়ে আছে তারপর ও আমি এই শিশুটি কে লালন-পালন করতে চাই।
মাগুরা বিনোদ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মেহেদী হাসান ম্যাগনেট বলেন, বিষয়টি লোক মুখে শুনতে
পেয়ে আমি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও তাড়াশ থানায় অবগত করেছি।
সিরাজগঞ্জের সমাজ সেবার ফিল্ড সুপার ভাইজার সোহানুর রহমান বলেন, আইনগত ভাবে নিঃসন্তান ছাড়া কোন পরিবার দত্তক নিতে পারে না। তবে এ ব্যপারে উর্ধতন কর্মকর্তা কে জানিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তাড়াশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলাম বলেন, প্রশাসনের মাধ্যমে শিশুটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুইচিং মং মারমা বলেন, বাচ্চাটি দত্তক নেওয়ার জন্য অনেকেই আবেদন করেছেন। জেলা প্রশাসকের নির্দেশ মোতাবেক বাচ্চাটিকে রাজশাহী সোনা মনি নিবাসে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামীকাল শিশুটিকে পাঠানো জন্য প্রক্রিয়াধিন রয়েছে।