যে চিকিৎসক রোগীকে একটু সময় দেন। অসুখ, চিকিৎসা, ওষুধ প্রভৃতি বুঝিয়ে বলেন, রোগীরা তাকে পছন্দ করেন। তার উপদেশ ও ব্যবস্থাপত্র মেনে চলেন। এর বিপরীতে এক গবেষণায় দেখা গেছে, অনেক রোগী চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ সেবন করেন না। কেন এ গাফিলতি, তার কিছু কারণ খুঁজে পেয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের মায়ো ক্লিনিক।
নির্ভর হয়ে যাওয়া। ব্রাইটান বিশ্ববিদ্যালয়ের হেলথ কেয়ারের মনোরোগ বিশেষজ্ঞ প্রফেসর রব হোব বলেছেন, অনেক রোগী মনে করেন তারা ওষুধের ওপর নির্ভর হয়ে পড়তে পারেন
ওষুধ না খাওয়ার অন্যতম কারণ মনস্তাত্ত্বিক, অনেক বিশেষজ্ঞ এমনি মনে করেন। রোগী ভাবেন, রোগশোক-অসুস্থতা নিজেই মারাত্মক চিন্তায় ফেলে দেয়। একে বার বার মনে করিয়ে দেয় ওষুধ খাওয়া
ভুলে যাওয়া। সঠিক সময়ে ওষুধ খেতে ভুলে যান না এমন মানুষের সংখ্যা কম
অস্বীকার করা। রোগকে স্বীকার করতে আমরা কুণ্ঠাবোধ করি। এমনিতেই সেরে যাবেÑআমাদের মধ্যে এমন মনোভাব কাজ করে
ভুল বোঝা। যদি কোনো ব্যবস্থাপত্রে একাধিক ওষুধের নাম থাকে ও রোগটি জটিল হয়, তবে দ্বিধাদ্বন্দ্ব দেখা দিতে পারে
ভয়। ওষুধের প্রতি ভয়ভীতি অনেকেরই আছে। এ কারণে ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকেন অনেকে। ওষুধের দাম নিয়েও রয়েছে দুশ্চিন্তা
ভালো লাগা। নিয়ম করে ওষুধ না খাওয়ার এটাও অন্যতম একটা কারণ। সুস্থ হয়ে গেছি, কি দরকার ওষুধ খাওয়ারÑএমনও মনে করেন অনেক রোগী
চিকিৎসার সময়সীমা। রোগ দীর্ঘ হলে অনেকে ওষুধে আগ্রহ হারিয়ে ফেলেন
বয়স। শিশুরা ট্যাবলেট খেতে চায় না। তাদের তরল ওষুধ হতে হবে সুস্বাদু। অন্যদিকে বৃদ্ধরা ওষুধ খেতে বিতৃষ্ণাবোধ করেন। তাদের অনিচ্ছা প্রবল
দিনে এক-দুবার খেলেই চলে, এমন মনে করেন অনেক রোগী
প্রথমবার ওষুধ খাওয়ার পর অস্বস্তি হলে কিংবা খারাপ লাগলে ওষুধ গ্রহণ করেন না অনেকেই। বিপরীত স্বভাবের মানুষও রয়েছেন। ওষুধ খাওয়ার পর লক্ষণ তেমন কষ্টদায়ক না হলে অনেকে উৎসাহ হারিয়ে ফেলেন
পারস্পরিক ভুল বোঝাবুঝি। যে ডাক্তার রোগীকে সময় দেন না, অসুখ, চিকিৎসা, ওষুধ প্রভৃতি বোঝাতে পারেন না, রোগীরা তার উপদেশ ও ব্যবস্থাপত্র মেনে চলতে উৎসাহ বোধ করেন না।