আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভূমধ্যসাগরের লিবিয়া উপকূলে অভিবাসীদের বহনকারী একটি নৌকা ডুবে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। শনিবার (১৬ এপ্রিল) জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা এই তথ্য জানায়।
এর আগে গত শুক্রবার (১৫ এপ্রিল) নৌকাডুবির এই ঘটনা ঘটে। শনিবার এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজেশন ফর মাইগ্রেশন (আইওএম) জানিয়েছে, লিবিয়ার পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর সাবরাথার উপকূলে নৌকাটি ডুবে যায়। উত্তর আফ্রিকার এই দেশটির এই শহরটি মূলত ভূমধ্যসাগরজুড়ে বিপজ্জনক সমুদ্রযাত্রায় আফ্রিকার লোকদের প্রধান লঞ্চিং পয়েন্ট হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
আইওএম বলছে, নৌকাডুরি পর এখন পর্যন্ত ৬ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া এখনও ২৯ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। গত শুক্রবার ৩৫ জনকে বহনকারী কাঠের ওই নৌকাটি ঠিক কী কারণে ডুবে যায় তা তাৎক্ষণিকভাবে স্পষ্ট নয়।
উন্নত জীবনের আশায় অভিবাসীদের উত্তর আফ্রিকা থেকে ইউরোপে যাওয়ার চেষ্টায় প্রাণহানির বিষয়টি অনেকটা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে এবং গত শুক্রবারের ঘটনাটি এর সর্বশেষ উদাহরণ। আইওএম’র তথ্য অনুসারে, শুধুমাত্র গত সপ্তাহে লিবিয়ার উপকূলে কমপক্ষে ৫৩ জন মারা গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
অন্যদিকে সহায়তা প্রদানকারী গোষ্ঠী ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস’র তথ্য অনুযায়ী, চলতি মাসের শুরুর দিকে ৯০ জনেরও বেশি আরোহী বহনকারী একটি নৌকা লিবিয়া ছেড়ে যাওয়ার কয়েকদিন পর ভূমধ্যসাগরে ডুবে যায়।
২০১১ সালে লিবিয়ার দীর্ঘদিনের শাসক মুয়াম্মার গাদ্দাফির পতনের পর উত্তর আফ্রিকার দেশটিতে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। আর এরপর থেকে সমুদ্রপথে ইউরোপে পৌঁছানোর চেষ্টা করা অভিবাসীদের জন্য লিবিয়া একটি প্রধান ট্রানজিট রুট হয়ে উঠেছে।