নিজস্ব প্রতিবেদক: লিবিয়া থেকে ভূমধ্যসাগর পাড়ি দিয়ে ইতালি যাওয়ার পথে ঠাণ্ডায় মারা যাওয়া সাত বাংলাদেশির নাম জানা গেছে। তারা হলেন মাদারীপুর সদর উপজেলার পশ্চিম পিয়ারপুর গ্রামের ইমরান হোসেন, একই উপজেলার পিয়ারপুর গ্রামের জয় তালুকদার, ঘটকচর গ্রামের সাফায়েত, মোস্তফাপুর গ্রামের জহিরুল, মাদারীপুর সদর উপজেলার বাপ্পী, সুনামগঞ্জের জামালগঞ্জ উপজেলার সাজ্জাদ এবং কিশোরগঞ্জের ভৈরব উপজেলার সাইফুল।
গত শনিবার ইতালির বাংলাদেশ দূতাবাস এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ জানুয়ারি ওই ঘটনায় যারা প্রাণে বেঁচে গেছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলেছেন দূতাবাসের শ্রমকল্যাণ বিভাগের কাউন্সিলর এরফানুল হকসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের প্রতিনিধিরা। তাদের মাধ্যমেই জানা গেছে মৃতদের নাম-পরিচয়।
ভূমধ্যসাগর পাড়ি দেয়া নৌকাটি ২৫ জানুয়ারি ল্যাম্পেডুসা দ্বীপে পৌঁছানোর সময় অতিরিক্ত ঠাণ্ডায় অভিবাসনপ্রত্যাশী ওই সাত বাংলাদেশির মৃত্যু হয়।
ইতালির উপকূলরক্ষীরা রাতে নৌকাটিকে ল্যাম্পেডুসার কাছে ল্যাম্পোনি উপকূলের ১৮ মাইল (২৯ কিলোমিটার) দূরে দেখতে পান।
ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের মেয়র সালভাতোরে মার্টেল্লো বলেছিলেন, ওই নৌকায় মোট ২৮০ জন ছিলেন, তাদের বেশিরভাগই বাংলাদেশ এবং মিসর থেকে আসা। কিন্তু মারা যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের সঙ্গে কোনো ধরনের ট্র্যাভেল ডকুমেন্ট না থাকায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করতে জটিলতা তৈরি হয়।
ইতালি কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে তাদের পরিচয় জানতে না পেরে এরফানুল হকসহ বাংলাদেশ দূতাবাসের দুই কর্মকর্তা ল্যাম্পেডুসা দ্বীপের হটস্পট ক্যাম্পে যান। স্থানীয় পুলিশের উপস্থিতিতে উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তারা।
উদ্ধার পাওয়া ব্যক্তিরা তাদের জানান, একজন ছাড়া বাকি সবারই পরিচিত কেউ না কেউ আছে বেঁচে যাওয়া অভিবাসনপ্রত্যাশীদের মধ্যে। সেই হিসেবে মৃতদের পরিবার খবর পেয়ে যাওয়ার কথা।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সবার মরদেহ সরকারি খরচে দেশে পাঠানোর জন্য মৃতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া প্রয়োজন। সে জন্য পরিবারের সদস্যদের নিজ নিজ জেলা প্রশাসক বা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অথবা ইতালির রোমে বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে ই-মেইলে যোগাযোগ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
সরকারি তথ্য অনুযায়ী, এ বছর পর্যন্ত ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত ইতালির বন্দরগুলোয় পৌঁছেছে ১ হাজার ৭৫১ জন অভিবাসনপ্রত্যাশী।