প্রতিনিধি,চুয়াডাঙ্গা: চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার কেদারনগরে জিকে সেচ খালের ১০০ ফুট বাঁধ ভেঙে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে ধানসহ ক্ষেতের বিভিন্ন ফসল, পুকুরের মাছ ও জাগ দেওয়া পাটের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যার দিকে আকস্মিকভাবে এই বাঁধ ভেঙে যায়।
এতে আলমডাঙ্গার বেলগাছি ওআঁলহাস ইউনিয়নের কেদারনগর,ভেদামারি ,ঘোলদাড়ী,জাহাপুর, আঁলহাস লক্ষীপুরসহ প্রায় ৩০টি গ্রামের কয়েকশত বিঘা জমির ধান ডুবে গেছে। পানির স্রোতে হারিয়ে গেছে চাষিদের প্রায় ১০০ বিঘা জমির কেটে রাখা পাট। উপজেলার কাশিপুর গ্রামের আলতাফ হোসেন বলেন,ক্যানালটি দু/তিনবার ভেঙেছে।এখানে ইট দিয়ে পাইলিং করে ১০/১৫ ইঞ্চি পুরু করে যে পরিমান পানি আসে তার চেয়ে এক ফুট উঁচু করে বাঁধলে ক্যানাল আর ভাঙ্গবে ন্। তিনি আরো বলেন, কবে ক্যানাল বাঁধবে,কবে পানি পাব। এতে আমাদের ধানের অনেক ক্ষতি হয়ে যাবে।তিনি বলেন,এই ক্যানালের অধীনে ব্যাপক এলাকায় ধানচাষ হয়েছে। উপর থেকে পানি যদি না হয়,তাহলে আমাদের ধান নষ্ট হয়ে যাবে।
একই উপজেলার কেদারনগর গ্রামের মন্টু মিয়া জানান, ক্যানালের স্থায়ী সমাধানের জন্য আপনাদের মাধ্যমে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে অনুরোধ করছি।জিকে ক্যানালের কেদারনগর পয়েন্টে স্থায়ী সমাধান নাহলে প্রতি বছর আমাদের সমস্যা থেকেই যাবে।ক্যানালের উপর বসবাসকারী বাসিন্দা আশিরুদ্দিন জানান, ক্যানাল মেরামত না হলে আমার গ্রামে আসতে দু মাইল ঘুরে আসতে হবে ।
আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রশাসন বলছে, চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বিভাগকে বিষয়টি আবহিত করা হয়েছে। মেরামতের কাজ শুরু হয়েছে। কেদারনগর স্থানীয় ইউপি সদস্য লাল্টু আলী বলেন, সন্ধ্যার পর থেকে আমার ওয়ার্ডের ডামোস গ্রামের দক্ষিনপাড়ার কয়েকটি বসতবাড়িতে পানি প্রবেশ করেছে। এছাড়া বহু ফসলি জমি পানিতে ডুবে গেছে। আমরা প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছি।
বেলগাছি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মেহেরাজ বলেন, আমি রাত ৮টার দিকেও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ক্যানাল ভেঙ্গে যাওয়ায় কাশিপুর, ডামোস ও কেদারনগর গ্রামের কিছু বাড়িতে পানি ঢুকেছে। ফসলি জমিতেও পানি প্রবেশ করেছে।
আলমডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী নাজিমুদ্দিন জানান, আমাদের সার্ভে সম্পন্ন হয়েছে। আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার চেস্টা করছি।৭ থেকে ১০ দিনের মধ্যে কাজ সম্পন্ন হবে।বাঁধ থেকে দৈর্ঘ্য ২৩ মিটারের মত ,বাঁধের টপ লেবেল থেকে পানি পর্যন্ত ৪মিটার এবং সাউন্ডিং পাওয়া গেছে ৩ মিটার।
আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) স্নিগ্ধা দাস বলেন, পানি উন্নয়ন বিভাগের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা দ্রুত মেরামত করবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন।
