নিজস্ব প্রতিবেদক: কুষ্টিয়ার ভেড়ামারায় দুইদিনে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া ৫ লাখ শলাকা বিড়ি ও ৬০ কেজি জর্দা আটক করা হয়েছে। যশোর ভ্যাট কমিশনারেটের আওতাধীন কুষ্টিয়া সার্কেলের কর্মকর্তারা বিড়ি ও জর্দা আটক করেছেন। যশোর ভ্যাট কমিশনার জাকির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
কমিশনার জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার বিভিন্ন এলাকায় একটি চক্র দীর্ঘদিন ধরে রাজস্ব ফাঁকি দিতে জাল ব্যান্ডরোলযুক্ত বিড়ি ও জর্দা, গুলসহ তামাকজাত পণ্য বাজারজাত করে আসছে। রাজস্ব ফাঁকি রোধ ও চক্রকে সনাক্তে নিবারক দল কাজ করে আসছে। অভিযানের পর অভিযানের ফলে চক্রটি প্রতিনিয়ত চোরাচালানের কৌশল পালাচ্ছে।
তিনি জানান, শুক্রবার (৭ মে) ছুটির দিনেও চোরাচালান থেমে নেই। গোপন সংবাদ আসে যে ভেড়ামারার বিভিন্ন এলাকায় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি বাজারজাত করবে। এরই প্রেক্ষিতে কুষ্টিয়া বিভাগীয় সার্কেলের কর্মকর্তারা নজরদারি বৃদ্ধি করেন। কুষ্টিয়া ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশনায় কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নওশের আলী মুন্সীর নেতৃত্বে নিবারক দল ভেড়ামারা উপজেলার ১২ মাইল বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন এলাকায় অভিযান চালানো হয়।
এসময় মালিক বিহীন দেড় লাখ শলাকা রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি আটক করা হয়। যার মধ্যে এক লাখ শলাকা আশিক বিড়ি, যার বাজার মূল্য ৭২ হাজার টাকা, জড়িত রাজস্ব ৩২ হাজার ৪০০ টাকা এবং ৫০ হাজার শলাকা জামিল বিড়ি, যার বাজার মূল্য ৩৬ হাজার টাকা, জড়িত রাজস্ব ১৬ হাজার ২০০ টাকা। পরবর্তীতে আটককৃত বিড়ি কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল কুষ্টিয়া-২, ভেড়ামারা দপ্তরে নিয়ে এসে জমা করা হয়। এ বিষয়ে মূসক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিশনার জানিয়েছেন, রমজানেও চোরাচালান থেমে নেই। ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে সবাই যখন ইফতার নিয়ে ব্যস্ত, ঠিক সময় রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া বিড়ি, জর্দা, গুল বাজারজাত করে আসছে বলে গোপন সংবাদ পাই। বিষয়টি নিবারক দলকে অবহিত করা হলে নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে কুষ্টিয়া ভ্যাট বিভাগের ডেপুটি কমিশনারের নির্দেশনায় কুষ্টিয়া ভেড়ামারা সার্কেলের রাজস্ব কর্মকর্তা মো. নওশের আলী মুন্সীর নেতৃত্বে নিবারক দল দুইদিন ইফতারের পূর্ব মূহুর্তে অভিযান চালানো হয়।
এসময় ভেড়ামারা রেলস্টেশন হতে সাড়ে তিন লাখ শলাকা রাজস্ব ফাঁকি যুথি বিড়ি, টান বিড়ি ও আজাদ বিড়ি আটক করা হয়। যার মোট বাজার মূল্য দুই লাখ ৫২ হাজার টাকা। জড়িত রাজস্ব দুই লাখ ৮১ হাজার ৪০০ টাকা। এছাড়া সাতবাড়িয়া এলাকায় রাস্তার পাশে মালিকবিহীন অবস্থায় ৬০ কেজি আখিঁ জর্দ্দা উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে আটককৃত বিড়ি ও জর্দ্দা কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল কুষ্টিয়া-২, ভেড়ামারা দপ্তরে নিয়ে এসে জমা করা হয়। আটককৃত চালানের বিষয়ে মূসক আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
কমিশনার জানান, বিভাগীয় কর্মকর্তার তত্ত্বাবধানে নিয়মিত মূসক আহরণের পাশাপাশি মূসকবিহীন, অবৈধ, নকল ব্যান্ডরোলযুক্ত সিগারেট, বিড়ি, জর্দা ও গুল জাতীয় সম্পূরক শুল্কযুক্ত রাজস্ব ফাঁকি দেওয়া পণ্যের বিরুদ্ধে কাস্টমস এক্সাইজ ও ভ্যাট সার্কেল-২ ভেড়ামারা, কুষ্টিয়া নিবারক দল সর্বদা কঠোর অবস্থানে রয়েছে এবং এ ধরনের নিবারণী কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
###