শেয়ার বিজ ডেস্ক: কারাবন্দি মার্কিন নাগরিক জসুয়া হল্ট ও তার স্ত্রীকে মুক্তি দিয়েছে ভেনিজুয়েলা। তা সত্ত্বেও দেশটির ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা বহাল থাকবে বলে জানিয়েছেন মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। তবে ভেনিজুয়েলার তরফ থেকে বলা হয়েছে, এই দম্পত্তির মুক্তি দুই দেশের আলোচনায় উন্নতি হওয়ার ইঙ্গিতবাহী। খবর বিবিসি।
যুক্তরাষ্ট্রের উটাহর বাসিন্দা হল্ট সাবেক মরমন মিশনারি। ২০১৬ সালে জুনে ভেনিজুয়েলান বান্ধবী থামি ক্যান্ডেলোকে বিয়ে করতে কারাকাস যান তিনি। বিয়ের পর যুক্তরাষ্ট্রে ফেরার পরিকল্পনা ছিল তাদের। মার্কিন ভিসার অপেক্ষায় থাকার সময়ে নিজেদের বাড়ি থেকে অস্ত্র গোপনের অভিযোগে আটক হন তারা। দুই বছর ধরে কারাবন্দি ছিলেন তারা। তাদের মুক্তির বিষয়ে মধ্যস্থতা করেন মার্কিন সিনেটর বব করকার। গত শনিবার মুক্তির পর যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জসুয়া।
এই সাক্ষাতের পর মাইক পেন্স এক টুইট বার্তায় লেখেন, জসুয়া হল্ট পরিবারের কাছে বাড়িতে ফিরে আসায় আনন্দিত। ভেনিজুয়েলায় গণতন্ত্র না ফেরা পর্যন্ত নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে।
ল্যাতিন আমেরিকায় ২১ শতকের সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে একদিন বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল বিপ্লবী হুগো চ্যাভেজের ভেনিজুয়েলা। তিনি প্রয়াত হওয়ার পর উত্তরসূরি নিকোলাস মাদুরোর নেতৃত্বাধীন ভেনেজুয়েলায় পাঁচ বছর ধরে চলছে অর্থনৈতিক সংকট। উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির পাশাপাশি খাবার আর ওষুধের তীব্র সংকট চলছে। গত রোববার অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিরোধীদের বয়কটের মুখে মাত্র ৪৮ শতাংশ ভোটার ভোট দেয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম ভোটার উপস্থিতির এই নির্বাচনে ৬৮ শতাংশ ভোট পাওয়ার দাবি করেছেন মাদুরো। তবে ফলাফল প্রত্যাখান করেছে ওয়াশিংটন।
নির্বাচনের ফলাফলের পর গত বৃহস্পতিবার ভেনিজুয়েলায় নিযুক্ত মার্কিন উপ-রাষ্ট্রদূত টড রবিনসনসহ দুই কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়। পাল্টা হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র থেকেও ভেনিজুয়েলার কূটনীতিকদের বহিষ্কার করা হয়।